পৃষ্ঠাসমূহ

সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

৪৫। দি ট্রাভেলস অফ আ হিন্দু ৯ ভোলানাথ চন্দ্র


সেকালের বাঙালিদের ভ্রমণ                ধারাবাহিক 


                   -------  সুমনা দাম



                    (আগের পর্বের পরে)

পরবর্তী দর্শনীয় স্থান ডুমরি (বর্তমান ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত)। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই জায়গাটির মত বন্য ও উঁচু নীচু কোন জায়গা লেখক আগে দেখেননি। পাহাড়, উপত্যকা, গিরিখাত, গুহার যেন শেষ নেই এখানে। চতুর্দিকে কত সহস্র ধরনের গাছপালা, যার প্রতিটি অচেনা। যদিও এখন জঙ্গলে বাঘের সংখ্যা কমে গেছে তবুও পথের প্রতিটি বাঁকেই আশঙ্কা হয় যে তাদের সঙ্গে দেখা হবে। কিছুদিন আগেও এই পথে বাঘের হাতে মারা গেছে মানুষ। সরকার ২ বা ৩ মাইল অন্তর অন্তর চৌকি আর সরাই তৈরি করে দিয়েছেন ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তার জন্য। এই রাস্তায় মাচানের উপর থেকে রাতে পাহারাদারের পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। ভ্রমণকারীর নিরাপত্তা সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষিত করতে ভারতের পক্ষে সে এক দারুন দিন হবে, যেদিন শেষ বাঘটিকে মেরে তার দেহ আগামী পুরুষদের কৌতুহল মেটানোর জন্য সংরক্ষণ করা হবে। (বর্তমান ব্যাঘ্র তথা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণকারী মানুষেরা লেখকের এই বক্তব্য শুনলে যে কঠিন প্রতিক্রিয়া জানাবেন লেখকের সে বিষয়ে বিন্দুমাত্র ধারণা ছিল না বোঝা যায়)।

 


কুড়ি মাইল ব্যাপী একটানা পাহাড়ের পরে এল এক উপত্যকা। এক সারি কুঁড়েঘর নিয়ে তৈরি এক সরাই (সরাইখানা) এল। সেখানে লেখকেরা স্নান ও প্রাতরাশ করলেন। তারপর আবার চলা শুরু। আবার পাহাড়ের দেখা পাওয়া গেল। সঙ্গের একটি ডাকগাড়ি একটি মারাত্মক দুর্ঘটনার হাত থেকে কোনক্রমে বাঁচল। গাড়িটি পাহাড়ের রাস্তায় বাঁক নেওয়ার সময় গড়িয়ে খাদে পড়ে যাচ্ছিল। দিন শেষ হয়ে আসছে। পাহাড়ের সূর্যাস্ত অনন্য। পাহাড়ের আড়ালে সূর্য ডুবে যেতেই মাটিতে লম্বা ছায়া পড়ে যায়। হঠাৎ সবকিছু অন্ধকারে ডুবে যায়। 



রাতে তাঁরা বেলকুপি পৌছালেন (বেলকাপি, ঝাড়খন্ড)। এখানে রাস্তার ধারে কয়েকটা উষ্ণ প্রস্রবণ আছে। এক ব্যক্তি তাঁদের সেগুলি দেখাতে নিয়ে যেতে চাইলেন। কিন্তু এক সহযাত্রী বললেন এই রাতে সেগুলি দেখতে যাওয়া মানে বাঘের মুখে পা দেওয়া। (সূরযকুন্ড, রামকুন্ড, সীতাকুন্ড, লক্ষণকুন্ড, ব্রহ্মকুন্ড - এই উষ্ণ প্রস্রবণগুলি বেলকাপি, বারহী মহকুমায়  রয়েছে)। 



এবার এলো বুড়াকাট্টা (বোড়হাকাটা, ঝাড়খন্ড) নামের স্থান, যেটি সম্ভবত প্রাচীনকালে বৌদ্ধ বা জৈনদের ধর্মস্থান ছিল। এখন সেখানে আম, বট, অশ্বত্থের ভালো ভালো গাছ আছে আর ক্ষীণধারা নদী আছে। 



বারহি (ঝাড়খন্ড) গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড-এর উপর অবস্থিত একটি প্রধান শৈল শহর। কিন্তু লেখকেরা অনেক রাতে সেখানে পৌঁছানোতে কিছু দেখতে পেলেন না। 



এরপর এল ডানওয়া পাস (pass)। এবার পাহাড় বেয়ে উঠতে কুলিদের গাড়ি ঠেলে তুলতে হলো। এই পাসটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫২৫ ফুট উঁচু। এরপর পাহাড়ি পথ শেষ হল, এল সমতল ভূমি। 



তাঁরা বরাক পৌঁছালেন। সেখানে একটি বাংলো ও আরেকটি সরাই আছে। এখানে জলের খুব অভাব। চাষবাস প্রায় নেই। মানুষদের চুল ও চেহারা অপরিচ্ছন্ন। মেয়েরা মাথায় কলসি নিয়ে সারাদিন জল সংগ্রহের যায় আর আসে। তাদের কপালে সিঁদুর আর সারি দিয়ে পয়সা ও পুথির মালা সাজানো। লেখকদের প্রাতরাশের জন্য অনেকগুলি মুরগি জবাই হয়েছিল। সেদিন দুর্গাপূজার নবমী, দূরে বাংলায় তাঁদের আত্মীয় বন্ধুরা সেদিন ছাগল-মোষ বলি দিয়ে দুর্গা পূজা করছে আর এখানে লেখকেরা মুরগি বলি দিলেন। (এটি অবশ্যই লেখক বঙ্গাত্মকভাবে বলেছেন)। সঙ্গের ডাক্তারটি এখানে একটি শিশুর চিকিৎসা করলেন। এখানে ২০০ দোকান আর কুঁড়েঘর আছে রাস্তার দু'পাশে মুখোমুখি দুটি সারি। মোট ৩০০ কি ৪০০ মানুষের বাস এখানে। লীলাজন নদী দেখলেন, তাতে জল নেই বললেই চলে। এই নদীর অপর নাম ফল্গুনিরাজনা। ফল্গু নদী হিন্দু ধর্মের পবিত্র নদী, আর নিরাজনা বৌদ্ধ ধর্মের পবিত্র নদী। 



এবারে রাস্তার দু'ধারে গাছের সারির মধ্যে দিয়ে এল  শেরঘাঁটি (বিহার), অর্থাৎ বাঘের আস্তানা। ৫০ বছর আগে এই রাস্তায় যেতে গেলে ক্যানেস্তারা পিটিয়ে বাঘ তাড়ানোর লোক সঙ্গে রাখতে হতো পথযাত্রীদের। এই প্রাচীন স্থান হয়তো অজাতশত্রু, অশোক, বুদ্ধের সময়ও ছিল। কিন্তু কি নাম তার ছিল এখন তা জানা দুষ্কর। বাদশাহ আওরঙ্গজেবের প্রতিনিধি মীর জুমলা এই স্থান হয়ে শাহ সুজাকে আক্রমণ করতে রাজমহলে গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। পুরনো কিছু কবর আর মসজিদ আছে শুধু পুরনো দিনের সাক্ষ্য হিসেবে। 



এখান থেকে গয়া কুড়ি মাইল। ফাহিয়েন (চৈনিক পর্যটক) -এর ভাষায় গয়া হল কিয়া ইয়ে। হিন্দুদের বিষ্ণুপদের জন্য গয়া বিখ্যাত। গয়াসুর আসলে বৌদ্ধশক্তির উত্থানের প্রতীক, যাকে দমন করতে হিন্দুধর্মে দৈবশক্তির প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এটি বৈষ্ণবধর্মের কাছে বৌদ্ধধর্মের পরাজয়ের রূপক কাহিনী। গয়া ও বৌদ্ধ গয়ার বিষ্ণুপদচিহ্ন ও বৌদ্ধ পদচিহ্নের এই নৈকট্য দুটি ধর্ম গোষ্ঠীর বিরোধকে প্রকট করে। ফা হিয়েনের আগমনের আগে বিষ্ণুপদ চিহ্ন ছিল গয়ায়। গয়াতে বিপত্নীকদের বিবাহ নিষিদ্ধ। এটি হিন্দু পুরুষদের পক্ষে স্বাভাবিক নয়। এর কারণ সম্ভবত বৌদ্ধধর্মের প্রভাব। গয়ার মানুষেরা জন্মগতভাবে হিন্দু হলেও তাদের স্বভাব ও আচরণে কিছু বৌদ্ধ রীতি আছে বলে লেখক মনে করেন। 



শেরঘাঁটিতে অনেক গয়ালী থাকে তীর্থযাত্রীদের নিজের কবলে আনার জন্য। তারা অত্যন্ত ঝামেলা বাধায় যাত্রীদের সঙ্গে। এছাড়া সেখানে কুষ্ঠ রোগী, অন্ধ, খোঁড়াদের গোষ্ঠী রয়েছে, তারা ভিক্ষা করে জীবন কাটায়।  পুণ্য অর্জনের জন্য যে যাত্রীরা যায় তারা সবাই দান করে কারণ দান করলে স্বর্গ লাভের পথ সুগম হবে বলে তারা বিশ্বাস করে। 



এরপর উমগা, মদনপুর হয়ে পথ গেছে। মদনপুর এলাকায় বাংলার পাল রাজাদের রাজত্ব ছিল কিন্তু, এখন ধ্বংসাবশেষ। সেখানে ৪০০ বছরের প্রাচীন এক ৬০ ফুট জগন্নাথ দেবের মন্দির আছে চন্দ্র বংশীয় রাজা ভৈরব ইন্দ্র প্রতিষ্ঠিত (গুগল ম্যাপ অনুসারী এটি সূর্য মন্দির, জগন্নাথ মন্দির নয়)। 



এবার লেখকের দ্রষ্টব্য স্থান সোন নদী, যার প্রাচীন নাম হিরণ্যবাহ, (অর্থাৎ যা সোনা বহন করে। কথিত আছে সোন নদীর বালিতে সোনার কণা আছে)। গ্রীক পর্যটক আরিয়ান ও প্লিনী একে এরানোবোয়াস বলেছেন। নদীর অর্ধেক অংশে জল নেই। কুলিরা গাড়ি ঠেলে পার করালো। রোটাস পাহাড় দূরে দেখা যায় পটভূমিতে। এখানে লেখকের একটি পৌরাণিক কাহিনী শোনান। নরবুদা আর সোনের বিবাহ ঠিক হয়েছিল। তাঁরা হিন্দু বরকনের মত পরস্পরের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন না। নরবুদার মনে কৌতুহল হয় তাঁর স্বামী হতে চলেছে যে সোন, তাঁর সম্পর্কে খবরাখবর পাওয়ার জন্য। তাই তিনি সখি ঝোলাকে সোনের কাছে পাঠান। তখন বিবাহ করার উদ্দেশ্যে সোন আসছিলেন। ঝোলা কে দেখে তার প্রতি আকৃষ্ট হন সোন। নরবুদা এরপর নিজে খোঁজ নিতে গিয়ে সেই দৃশ্য দেখে ঘৃণায় পদাঘাতে সোনকে পূর্ব দিকে অর্থাৎ তিনি যেদিক থেকে আসছিলেন সেদিকে ও ঝোলাকে তাঁর দিকে পাঠিয়ে নিজে পশ্চিমে চলে যান ও সর্বদা কুমারী থাকেন। এই কাহিনী অমরকন্টক পাহাড় থেকে নির্গত হয়ে নর্মদার পশ্চিমমুখী বয়ে যাওয়া, সোনের প্রথমে কিছুটা পশ্চিমমুখী হয়ে তারপর পূর্বমুখী হয়ে বয়ে যাওয়া ও ছোট নদী ঝোলার (জোহিলা নদী) সোন নদীতে মিশে যাওয়াকে রুপক হিসেবে দেখিয়েছে। 



সোন নদীর ধারে ডেহরি অবস্থিত। সোনের বাম তীরে শাহবাগ। এখানে লেখক মগধের আরো প্রাচীন নাম 'কিকাতা' ব্যবহার করেছেন। 


ডেহরি থেকে রোটাস কুড়ি মাইল। কথিত আছে হরিশচন্দ্রের পুত্র রোহতাস (রোহিতাশ্ব) এই দুর্গ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু বস্তুত দুর্গ এত প্রাচীন নয়। শেরশাহের তৈরি এই দুর্গে রাজা মান সিংহ সংস্কার করেছিলেন। এই দুর্গ কুনয়ার সিং আর অমর সিং কিছুদিন ধরে সিপাহী বিদ্রোহের সময় দখল করে রেখেছিলেন। সেই প্রসঙ্গে লেখক আবার সিপাহী বিদ্রোহের অসারতা প্রমাণ করে দেন। 



এবার এল সাসারাম। প্রায় ৩০০০ কুঁড়ে ঘর, দোকান নিয়ে বসতি। দোতলা কাঁচা বাড়ি এই প্রথম চোখে পড়ল। সাসারাম থেকে দূরে নীল পাহাড় আর ফসলে ভরা উপত্যকা দেখা যায়। শের শাহের জন্মস্থান সাসারাম দ্বিতীয় দিল্লি তো হতে পারেইনি বরং দুর্গন্ধময় সরু গলিতে, দরিদ্র মানুষের বসবাসস্থল হয়ে উঠেছে। শের শাহের পিতা হাসান খান-এর সমাধি একমাত্র এর ব্যতিক্রম। খুব সুন্দর এই সমাধি একটি উত্তম ভাস্কর্য যা এখনো প্রায় অক্ষত আছে। এই সমাধিস্থলের উপর থেকে নীচে শহরটি ভালো করে দেখা যায়। উত্তর দিকে শেরশাহের সমাধি একটি কৃত্রিম হ্রদের ধারে অবস্থিত। পিতা ও পুত্রের সমাধি দুটি একই রকম, শুধু শের শাহের সমাধিটি আরো বড় ও আরো সুন্দর। শেরশাহ নিজে তাঁর সমাধি তৈরি করে রেখেছিলেন। সমাধি ছাড়া আর কোন প্রাসাদ বা সৌধ তিনি তৈরি করে যান নি। কিন্তু চার মাস ব্যাপী পায়ে হেঁটে চলার যে পথ তৈরি করে গেছেন, তা পূর্বে বাংলার সোনারগাঁও থেকে পশ্চিমে ঝিলাম নদীর তীরে রোটাস পর্যন্ত বিস্তৃত। এখনো তাঁর তৈরি করা পাথর আর ইঁটের সরাইখানার চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায় জাহানাবাদে। তবে রাস্তার ব্যাপারে শেরশাহের পূর্বসূরী অবশ্যই সম্রাট অশোক, যিনি রাজপথ তৈরি করে তার পাশে আম গাছ বসিয়ে, কূপ, ধর্মশালা, হাসপাতাল তৈরি করে পথিকদের চলার সুব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। 



এবার লেখক ও সঙ্গীরা বেনারসের উদ্দেশ্যে চললেন। বহুদূর থেকে পথ চলতে শেরশাহের সমাধি দেখতে পাওয়া যায়, রাস্তা সমতল হওয়ার কারণে এরকম দেখা যায়। পথে পড়ল কর্মনাশা নদী। কর্মনাশা নদী ৩০০ ফুট চওড়া, বর্ষাকালে জল ৩০ ফুট বেড়ে যায়, পাড়ের বালি ২০ ফুট গভীর। হিন্দুদের কাছে কর্মনাশা নদী হল গঙ্গার সম্পূর্ণ বিপরীত সংস্করণ। এই নদীর জল স্পর্শ করলে সমস্ত অর্জিত পূর্ণ বিনষ্ট হয়ে যায়। কিছুদিন আগেও মাঝিরা এই নদীতে নৌকা চালানোর সময় সতর্ক থাকতো যাতে এক ফোঁটা জলও শরীরে না লাগে। যারা নৌকায় চড়তে পারতো না পয়সার অভাবে, তারা অন্য মানুষের কাঁধে চড়ে নদী পার হত। এখন আর সেসব করার দরকার হয় না। বেনারসের ধনী হিন্দু রাজা পাটনি মলের দানশীলতায় নদীর উপর পাথরের সেতু তৈরি হয়েছে। লেখক এবার কর্মনাশা নদী সৃষ্টির পৌরাণিক কাহিনী বলেন। রাজা ত্রিশঙ্কু পূজা ও তপস্যার বলে দেবতাদের মধ্যে খুব মর্যাদা লাভ করেন। কিন্তু শিব তাঁকে স্বর্গ থেকে নিক্ষেপ করেন এবং মাঝপথে আটকে দেন। একদিকে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের টান, অন্যদিকে তপস্যার বলে স্বর্গের দিকে আকর্ষণের প্রভাবে তিনি মাঝখানে ঝুলে থাকেন, মাথা নিচু অবস্থায়। এই পরিস্থিতিতে তাঁর মুখ থেকে ক্ষরিত লালারস থেকে এই কর্মনাশা নদীর সৃষ্টি হয়। 


লেখক একজন ইয়ং বেঙ্গলের অবস্থানের তুলনা করেছেন ত্রিশঙ্কুর সঙ্গে। বর্তমানে পূজা ও তপস্যা হলো শিক্ষা ও জ্ঞানার্জন। স্বর্গের জন্য আকুতি হল বিজিত শক্তি যে সুযোগ সুবিধা ভোগ করে তা পাওয়ার বাসনা। শিব এখানে উগ্র গোষ্ঠীর প্রতীক। শূন্যে ঝুলে থাকা হলো মধ্যবর্তী অবস্থান, যেখানে একজন শিক্ষিত হিন্দু ঝুলে আছে, যার একদিকে গোঁড়া দেশীয়রা ও অন্যদিকে বিজিত শক্তির মানুষেরা।

          

                      (চলছে)


প্রিয় পাঠক: আপনার মতামত আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ! অনুগ্রহ করে একটি মন্তব্য করুন এবং এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার চিন্তাভাবনা শেয়ার করুন। আমি আপনার প্রতিক্রিয়া জানার জন্য আগ্রহী!

২টি মন্তব্য:

  1. কর্মনাশা নদী সৃষ্টির কাহিনী ,বেনারসের আরো কিছু গল্প , ,সোনার নদীর সম্পর্কে চর্চিত কাহিনী। তখনকার ঝাড়খণ্ডের নানান কাহিনী সম্পর্কে অবগত হলাম এই পর্বটির সাহায্যে ।
    শিউলি

    উত্তরমুছুন
  2. আপনার এভাবে খুঁটিয়ে পড়া ও মন্তব্য করাটা খুব ভালো লাগে ❤️

    উত্তরমুছুন