পৃষ্ঠাসমূহ

শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪

৪৮। দি ট্রাভেলস অফ আ হিন্দু ১২ ভোলানাথ চন্দ্র

 

  

সেকালের বাঙালিদের ভ্রমণ                ধারাবাহিক 


                   -------  সুমনা দাম


                     (আগের পর্বের পরে)

কানপুর সম্পর্কে আগ্রহ যে মানুষের মনে থাকে বাস্তবে কানপুর দেখলে তার আশা ভঙ্গ হওয়াটাই স্বাভাবিক, লিখেছে লেখক ভোলানাথ চন্দ্র। গঙ্গার ধারে অবস্থিত হলেও কানপুরের বালুকাময়, রুক্ষ সমতলভূমি, ধুলোবালি আর লু বা ধূলি ঝড় কানপুরকে আকর্ষণহীন করে তোলে। কানপুরে কোন পুরনো স্থাপত্য নেই। কানপুরের কোন ঐতিহাসিক গুরুত্ব নেই। হিন্দুদের কোন পৌরাণিক কাহিনী, বাবরের আত্মজীবনী, আইন-ই-আকবরী - কোথাও কানপুরের উল্লেখ নেই। কানপুর ইংরেজদের সৃষ্ট নগরী। যখন থেকে ইংরেজদের লক্ষ্ণৌয়ের নবাবদের উপর নজরদারি দরকার হয়ে পড়ে, তখন থেকে কানপুরের বিকাশ হয়। 


কানপুর এখন বাণিজ্য নগরী। এখানে সেখানে তুলোর গাঁঠরি, বিশাল বিশাল শস্যের স্তুপ চোখে পড়ে। সেগুলি গাড়িতে আসা-যাওয়া করে। হাজার হাজার ঘোড়া, উট, বলদ, গাধার পায়ের আঘাতে ধুলো উড়ে দমবন্ধ-কর অবস্থা তৈরি হয়েছে। 


ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় চিত্রটি অন্যরকম। প্রতিদিন সকালে, বিকালে রাস্তা জল দিয়ে ধোয়া হয়। ভারতের কোন রাস্তা এখানকার রাস্তার মতো চওড়া নয়। রাস্তার দু'ধারে গাছের সারি। খোলা ময়দানগুলি শহরে স্বাস্থ্য রক্ষা করছে। সাইনবোর্ড লাগানো ছোটখাটো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন দোকান, সুন্দর বাংলো, সেনা ছাউনি, বাজার, বাগান ছিল; যখন কানপুরের সুদিন ছিল। ইউরোপীয়রা পিকনিক, ডিনার পার্টি, বলডান্স প্রভৃতিতে আনন্দে দিন কাটাতো। কিন্তু সে সব দিন চলে গেছে। রয়ে গেছে শুধু রাস্তাগুলি। এখন শুধু পরিত্যক্ত বাড়ি দরজা-জানলা কি ছাদহীন ইউরোপীয় বাংলো চোখে পড়ে। সব কিছু সিপাহী বিদ্রোহে ধ্বংস হয়ে গেছে। 


শাহ বিহারীলাল ঘাটে যেখানে একগুচ্ছ সুন্দর মন্দির আর পঞ্চাশ সিঁড়িযুক্ত ঘাট ছিল। এখন সেগুলি আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছে। নৌকার পুল উড়িয়ে দেওয়ার জন্য যে বন্দুকগুলি ব্যবহার করার জন্য সিপাইরা এনেছিল সেগুলি ওই মন্দিরগুলিতে লুকানো ছিল। তাই স্যার কলিং-কে সেই গুলি বোমা দিয়ে উড়িয়ে দিতে হয়েছিল। নৌকার ব্রিজের নিরাপত্তার স্বার্থে এই মন্দিরগুলিকে ধ্বংস করা হয়। (স্যার কলিং ক্যাম্বেল সিপাহী বিদ্রোহের সময় কমান্ডার ইন ইন্ডিয়া ছিলেন)। 


সিপাহী বিদ্রোহে যে ঝড় উঠেছিল তার মধ্যে কানপুর সব থেকে বেশি প্রভাবিত হয়েছিল নানা সাহেবের জন্য। লেখক এবার সিপাহী বিদ্রোহের নানা কথা ও কানপুরের নানা ধ্বংসলীলা বর্ণনা করেন। কিন্তু ভ্রমণ বিষয়ক লেখাতে সেগুলি অপ্রয়োজনীয় বলে বর্জন করা হলো। 


লেখক সতীচৌরা ঘাট দেখলেন, যেখানে সতীদাহ হত ও সিপাহী বিদ্রোহে ইংরেজদের হত্যা করা হয়েছিল।


কানপুর শহরে ঘুরতে ঘুরতে এক বাঙালি বাবুর প্রতিষ্ঠিত দুর্গামূর্তি দেখলেন লেখক। এ ছাড়া আর কোন মূর্তি দেখতে পাননি শহরে। লেখকের ধারণা হিন্দুস্তানিদের থেকে বাঙালিরা মূর্তি পূজায় অনেক বেশি আগ্রহী। বাঙালি বাবুটি নিশ্চয়ই বাংলা থেকে কারিগর এনে দুর্গা মূর্তি বানিয়েছেন কারণ হিন্দুস্তানিরা সিংহের পিঠে বসা দশ হাতের এই দেবী মূর্তি তৈরি করতে পারবে না। 


এবার তাঁরা কানপুর থেকে আগ্রার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন ডাক গাড়িতে। দোয়াব অঞ্চল বাংলার মতো সমতল আর দোআঁশ মাটির জায়গা, কিন্তু দোয়াবের মাটি বাংলার মাটির মতো উর্বর নয়। এখানকার জলবায়ু শুষ্ক, বাংলার মতো স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ এখানে নেই। জলবায়ুর কারণে বাংলায় রোগের প্রকোপ বেশি। এখানকার মানুষকে কষ্ট করে জীবনযাত্রা চালাতে হয় বলে এরা খুব পরিশ্রমী, বাংলার মানুষের মতো কর্মবিমুখ নয়। 


চৌবেপুর হয়ে মীরা কা সরাই (মীরা সরাই) এলেন। মীরা কা সরাই এক মুসলমান ব্যক্তির নিজস্ব দাতব্য প্রতিষ্ঠান। এখানে অভিজাত পরিবেশে হিন্দু ও মুসলমান পথিক ও ব্যবসায়ীরা থাকতে পারে। 


এরপর তিন মাইল পথ পেরিয়ে এল কনৌজ। (একাদশ থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীর) রাঠোর সাম্রাজ্যের প্রাসাদ, মিনার সমন্বিত স্থান এখন আগের গৌরব হারিয়েছে। মনুসংহিতায় প্রথম কনৌজের উল্লেখ পাওয়া যায় কাণ্যকুব্জ নামে, যা পাঞ্চাল রাজ্যের রাজধানী ছিল। ভগবান বুদ্ধ এখানে এসেছিলেন ও বাণী প্রচার করেছিলেন। সেই স্মৃতিকে অক্ষয় করে রাখতে সম্রাট অশোক এখানে ২০০ ফুট উঁচু স্তূপ স্থাপন করেছিলেন। টলেমি তাঁর বইতে এই স্থানের উল্লেখ করেছেন। ফা হিয়েন ও হিউয়েন সাং এই স্থান দর্শন করেছেন যথাক্রমে পঞ্চম ও সপ্তম শতাব্দীতে। হিউয়েন সাং-এর সময় এখানকার রাজা ছিলেন হর্ষবর্ধন। আবু জাইদ (নবম শতাব্দীর পারস্যের পর্যটক) এই শহরকে প্রশংসা করেছেন তাঁর লেখায়। ৯১৫ খ্রিস্টাব্দে মাসৌদি (আরবের পর্যটক আল মাসুদি) এই স্থানের উল্লেখ করেছেন তাঁর লেখায়। মোহাম্মদ ঘোরীর আক্রমণে কানৌজে হিন্দু রাজত্বের অবসান হয়। ক্রমে শ্রী হারিয়ে ইবন বতুতার সময় এটি একটি ছোট শহরে পরিণত হয়। 


ব্রিটিশ প্রত্নতাত্বিক আলেকজান্ডার কানিংহাম সম্রাট অশোকের নির্মিত বৌদ্ধস্তূপ, হিন্দু রাজাদের প্রাসাদের অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন। মাটির নীচ থেকে খনন করে সেসব উদ্ধারের চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। কনৌজের জুম্মা মসজিদে প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের অংশ পাওয়া যায়। মাটির তলা থেকে প্রাচীন মুদ্রা, হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তিও পাওয়া গেছে। 


কনৌজ থেকে বাংলায় পাঁচ জন ব্রাহ্মণকে সেন রাজা এনেছিলেন যাদের বংশধরেরা বন্দ্যোপাধ্যায়, চট্টোপাধ্যায় ইত্যাদি কুলিন ব্রাহ্মণ ও তাদের সঙ্গে আসা পাঁচ শূদ্রদের বংশ থেকে ঘোষ,বসু প্রভৃতি কুলীন কায়স্থর উদ্ভব হয়েছিল। এই কৌলিন্য প্রথায় বৃদ্ধ বয়সে ও মৃত্যু শয্যাতেও কুলীন ব্রাহ্মণেরা ব্রাহ্মণ কন্যাদের বিবাহ করত। 


কনৌজ থেকে আবার যাত্রা শুরু হল। নানা অখ্যাত গ্রাম, আমবাগান পেরিয়ে পথ। এখানে লেখক বলদে টানা ট্রেন দেখলেন। ৫০-৬০ টি ওয়াগন নিয়ে তৈরি ট্রেন জিনিসপত্র বয়ে নিয়ে যায়। ট্রেনের সামনে তিনটি বলদ থাকে, তারা ট্রেনটি টানে। পিছনে আর একটি বলদ থাকে, বদলি হিসাবে। কয়েকশো মাইল এই বলদের ট্রেন যায়। রাতে কোথাও বিশ্রাম নেয়, সারাদিন চলে। কখনো কখনো উটের সারি, গাধার দলও মাল বয়ে নিয়ে চলে পাশ দিয়ে রাস্তার ধুলো উড়িয়ে। 


বৃষ্টি খুব কম হচ্ছে। চার পাশে খরা শুরু হয়েছে। কুয়োর জল ষাট সত্তর ফুট নীচে নেমে গেছে। খাদ্যশস্যের দাম প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে। চিরদিনই মাঝে মাঝে দুর্ভিক্ষ হয়ে আসছে। এখন সরকার দয়ালু, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো ইত্যাদি কারণে কিছুকাল দুর্ভিক্ষ হয়নি। কিন্তু শুধু খাল ও কূপের জল সেচ দিয়ে অনাবৃষ্টির মোকাবিলা করা যায় না। 


রাস্তায় মাঝে মাঝে সিপাহী বিদ্রোহের ফলে ঘরবাড়ি, বাংলোর ধ্বংসাবশেষ, এমন কি জনশূন্য গ্রামও চোখে পড়ে। তবে সাধারণভাবে গ্রামজীবনে শান্তি ও স্বাভাবিকত্ব ফিরে এসেছে। 


চার পাশে শুধু জোয়ারের ক্ষেত আমবাগান ছাড়া বেশিরভাগ সময় কিছুই চোখে পড়ে না। ভোগাওনের কাছে রাস্তা দুভাগে ভাগ হয়ে প্রধান রাস্তা দিল্লির দিকে ও অপর রাস্তা আগ্রার দিকে গেছে। 


এবার এলো মাইনপুর। এখানে এখনো একটি পুরনো হিন্দু রাজার দূর্গ রয়েছে। এখানে মূলত রাজপুরদের বাস। দীর্ঘকাল থেকে চলে আসা শিশুকন্যা হত্যা এখন ইংরেজ শাসনে বন্ধ করা হয়েছে। 


পরদিন সকালে লেখকের ডাকগাড়ি এসে পৌঁছালো শিকোহাবাদে, এটি মুসলমান প্রধান এলাকা। বড় শহর থেকে শিকোহাবাদ এখন এক সামান্য গ্রামে পরিণত হয়েছে। 


দোয়াব অঞ্চলে এখন এমন কোন জমি নেই যেখানে চাষ হয় না। বাংলায় শহর গড়ে উঠেছে একমাত্র ভাগীরথী নদীর তীরে, কিন্তু দোয়াবে মাঝে মাঝে ফতেপুর, কানপুর, মাইনপুরের মতো শহর আছে। বাংলার গ্রামের তুলনায় দোয়াবের গ্রামের দোকানে অনেক বেশি রকম জিনিসপত্র কিনতে পাওয়া যায়। বাংলার গ্রামের মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দোয়াবের গ্রামে না থাকলেও রোগের প্রাদুর্ভাব এখানে অনেক কম বাংলার থেকে। বাংলার গরিবদের থেকে দোয়াবের গরিবরা ভালো খাবার খায়, ভালো পোষাক পরে। বলদ ছাড়াও উট, মোষ, গাধা, ঘোড়াকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের শ্রম কমায় এখনকার মানুষ কিন্তু বাংলার মানুষ শুধু বলদের ওপর নির্ভরশীল। লেখক এমনকি মেয়েদের সাজের ব্যাপারেও বাংলা ও দোয়াবের তুলনা করে দোয়াবের নারীদের রুচি শ্রেষ্ঠতর এ কথা বলেন। পঞ্চাশ বছর আগে দোয়াাবের মানুষ ঢাল, তরোয়াল, গাদা বন্দুক নিয়ে পথ চলত। এখন আইন-শৃঙ্খলার উন্নতির ফলে সেই রীতি আর নেই। মুঘল আমলের তামার পয়সা এখনো দোয়াব অঞ্চলে প্রচলিত, যেমন বাংলায় কড়ির ব্যবহার রয়ে গেছে। মূর্তি পূজার চল বাংলার থেকে এই অঞ্চলে কম। বাংলার প্রতিটি গ্রামের মতো এখানকার গ্রামে শিব বা ষষ্ঠীর মন্দির নেই। 


রাস্তায় একটি ইউরোপীয় ডাকগাড়িতে দুজন ইউরোপীয়কে তাঁদের ছাড়িয়ে সামনে চলে যেতে দেখলেন লেখক। সাহেবদের গাড়ির গতি আবার দেশীয়দের সব কিছুতে পিছিয়ে পড়া প্রমাণ করলো। 


ফিরোজাবাদে ঢোকার সময় বোর্ডে 'আগ্রা পুলিশ থানা' লেখা রয়েছে লেখক দেখলেন। দ্বাদশ শতাব্দীর চান্দওয়ার এখন ফিরোজাবাদ। এখানেই চান্দেলা বীর অলহা ও উদল পৃথ্বীরাজ চৌহান-এর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। ১১৯৪ খ্রিস্টাব্দে ঘোরীর কাছে জয়চাঁদের পরাজয়ের ফলে এখানেই দেশ থেকে হিন্দু রাজত্বের অবসান হয়েছিল। জয়চাঁদ পৃথ্বীরাজ চৌহানকে পরাস্ত করে, তাঁর  কন্যা হরণের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মহম্মদ ঘোরীর সাহায্য নিয়েছিলেন, তাই জয়চাঁদকে বিশ্বাসঘাতক বলা হয়। এখন ফিরোজাবাদের কোন গুরুত্ব নেই। শহরের চারপাশে যে প্রাচীর ছিল তারও কোন অস্তিত্ব নেই। মানুষজন ছোট কুঁড়ে ঘরে থাকে। 


ফিরোজাবাদের পর থেকে গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোডের দুই দিকে নিম গাছ রয়েছে ছায়া বিছিয়ে। পথে এক ঝাঁক হরিণ দেখা গেল রাস্তার পাশে। 


মহমেদাবাদের কাছে একটি সুন্দর কারুকার্যযুক্ত কিন্তু অচেনা সমাধি দেখলেন। এই কারুকার্য দেখে বোঝা গেল আগ্রা আর দূরে নেই। রাতে পূর্ণিমার চাঁদের আলোতে চারদিক স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। দূরের মানুষজন, বাজার দেখতে দেখতে তাঁরা একটা উঁচু নীচু জমির নির্জন উপত্যকায় এসে পৌঁছালেন, সেটা নেকড়ে থাকার জন্য আদর্শ স্থান। তার একটু পরেই যমুনা নদীর দেখা মিলল। নদীর ওপর আলোকোজ্জ্বল নৌকার পুল দেখা গেল। এই পুল পুলিশ পাহারা দেয়। প্রতিদিন মালবাহী নৌকা যাওয়ার সময় এই পুল খোলা ও তারপর লাগানো হয়। লেখকেরা যখন পৌঁছলেন তখন পুল খোলা ছিল। তাই সে রাতে তাঁরা নদী পেরিয়ে আগ্রায় পৌঁছতে পারলেন না। গাড়িতেই রাত্রি কাটাতে হলো। জ্যোৎস্নার আলোয় নদীর শোভা দেখতে দেখতে তাঁদের সময় কাটল।

                            (চলছে)

২টি মন্তব্য:

  1. অতি সুন্দর পরিবেশন পেলাম পর্বটিতে। কানপুর, আগ্রার দোয়াব অঞ্চল প্রসঙ্গে নানা তথ্য - যেমন এখানকার নারীদের রুচিবোধের শ্রেষ্ঠত্ব ,ফিরোজাবাদের ইতিহাস ,কনৌজের সঙ্গে জড়িত কিছু গল্প তারমধ্যে সেন রাজাদের কনৌজ থেকে বয়ে আনা কুলিন ব্রাহ্মণ কুলিন কায়স্থ দের কাহিনী বা বলদ ,উট দিয়ে ট্রেন চালানো ।ফিরোজাবাদে পৃথ্বীরাজ চৌহান ও মহম্মদ ঘোরীর সেই ভয়াবহ যুদ্ধ ও আরও অনেক তথ্য পরিবেশনে পর্বটি প্রশংসার দাবি রাখে।
    শিউলি

    উত্তরমুছুন