পৃষ্ঠাসমূহ

রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

৬৮। তিব্বত অভিযান ১ - শরৎ চন্দ্র দাস

 

সেকালের বাঙালিদের ভ্রমণ                ধারাবাহিক 


                   -------  সুমনা দাম



শরৎচন্দ্র দাস (১৮৪৯-১৯১৭) তাঁর "জার্নি টু লাসা এন্ড সেন্ট্রাল টিবেট"এবং "অটোবায়োগ্রাফি : ন্যারেটিভ অফ দা ইন্সিডেন্টস অফ মাই আরলি লাইফ" নামক দুটি বইয়ে নিজের ভ্রমণ (মূলতঃ তিব্বত) সম্পর্কে যা লিখেছেন, তা এই পোস্টের উপজীব্য বিষয়। যদিও তাঁর ভ্রমণকে ভ্রমণ না বলে অভিযান বলা উচিত। দুটি বই-ই ইংরেজিতে লেখা কিন্তু যেহেতু বইটি বাঙালির ভ্রমণ কাহিনী তাই এই ব্লগের অন্তর্ভুক্ত হল। জার্নি টু সেন্ট্রাল টিবেট বইটি জন মুরে, লন্ডন থেকে ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। অটোবায়োগ্রাফি: ন্যারেটিভস অফ দ্য ইনসিডেন্স অফ মাই আরলি লাইফ প্রকাশিত হয় কলকাতা থেকে ১৯৬৯-এর মার্চ মাসে। যদিও দ্বিতীয় লেখাটি প্রথমে প্রবাসী নামক বাংলা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। 

শরৎচন্দ্র দাস ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে ম্যালেরিয়ার কারণে স্বাস্থ্য উদ্ধারের পড়া স্থগিত রেখে দার্জিলিংয়ের ভুটিয়া বোর্ডিং স্কুলের হেডমাস্টারের চাকরি নিয়ে দার্জিলিং যান। জার্নি টু লাসা বইয়ের মুখবন্ধে ডব্লু ডব্লু রকহিল (আমেরিকান কূটনীতিক এবং প্রথম তিব্বতি ভাষা জানা আমেরিকান) লিখেছেন যে কলেজে পড়ার সময় শরৎচন্দ্রের সঙ্গে পরিচয় হয় অ্যালফ্রেড ক্রফটের, যিনি ডাইরেক্টর অফ পাবলিক ইন্সট্রাকশনস অফ বেঙ্গল ছিলেন। স্যার আলফ্রেডের সহায়তায় শরৎচন্দ্রের তিব্বত যাত্রা ভারত সরকার অনুমোদন করেছিল। যদিও শরৎচন্দ্রের অটোবায়োগ্রাফি বইতে সেরকম কোন উল্লেখ নেই। 

'অটোবায়োগ্রাফি...'বইটিতে শরৎচন্দ্রের প্রথম দার্জিলিং যাত্রা ১৮৭৬-এ, সিকিম যাত্রা ১৮৭৬ ও ১৮৭৭-এ এবং ১৮৭৭-এ তিব্বতের তাশিলহুনপো যাত্রা বর্ণিত হয়েছে। 'জার্নি টু লাসা এন্ড সেন্ট্রাল টিবেট' বইতে ১৮৮১-১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে শরৎচন্দ্রের তিব্বতের লাসা ও মধ্য তিব্বত যাত্রার কথা বর্ণিত হয়েছে। 

দার্জিলিং-এর ভুটিয়া স্কুলে চাকরিতে যোগদান করার সময় সাহেবগঞ্জে ফেরি স্টিমারে কারাগোলা ঘাট গিয়ে সেখান থেকে মোষের গাড়িতে পূর্ণিয়া হয়ে তিনি শিলিগুড়ি যান। শিলিগুড়ি থেকে কালাবাড়ি পর্যন্ত ঘোড়া চলার রাস্তায় পায়ে হেঁটে যান। তারপর কার্শিয়াং থেকে দার্জিলিং ঘোড়ায় করে যান। সেই তাঁর প্রথম ঘোড়ায় চড়া। 

দার্জিলিং গিয়ে দার্জিলিংয়ের ডেপুটি কমিশনার জন এডগারের কাছে তিনি জানেন যে মূলত সিকিমের রাজার ছেলে ও সিকিমের উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের ছেলেদের ইংরেজি শেখানোর জন্য এই স্কুল খোলা হয়েছে। উগ্যেন গ্যাটসো নামের এক অল্পবয়স্ক লামাকে পেমিয়াংশী মঠ থেকে আনা হয় তাঁকে সহায়তা করার জন্য। কিছু স্থানীয় ভুটিয়া শিশুও এই স্কুলে ভর্তি হয়। কাজের প্রয়োজনে তিনি ভুটিয়া শিখে যান এবং তিব্বতি ভাষা শিখতে শুরু করেন কারণ দার্জিলিং-এর ভুটিয়ারা তিব্বতি বলত আর সিকিমের ভাষা হল তিব্বতী ভাষার একটি উপভাষা। সঙ্গী লামাও তিব্বতি ও ইংরেজি শিখতে থাকেন। তিব্বতি ভাষা শেখার সময় লেখক এই ভাষার সাহিত্যের গভীরতা ও প্রাচুর্য দেখে মুগ্ধ হন। 

১৮৭৬-এ স্কুলের বালকদের নিয়ে তিনি সিকিমের পেমিয়াংশী সহ কিছু বৌদ্ধ মঠে বেড়াতে গেছিলেন। সেখানে লামাদের মুখে গল্প শুনে ও বই পড়ে তিনি জানেন ভারতীয় পণ্ডিতরা আগে তিব্বতে কত সম্মান পেতেন। মিস্টার এডগার তাঁকে তিব্বত সম্পর্কে আরো বই দিয়ে উৎসাহিত করেন এবং বলেন যে তাঁকে এখানে আনার একটা উদ্দেশ্য ছিল যে স্কুল প্রতিষ্ঠা করে কিছু ভুটিয়া ছেলেকে তিব্বতি হিমালয় অঞ্চলে পাঠানো। সেই সময় তিব্বতে ইউরোপীয়দের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। ব্রিটিশ সরকার এর আগে দুজন ভারতীয়কে তিব্বত পাঠিয়েছিল বিভিন্ন জরীপ ও তথ্য সংগ্রহের জন্য, তাঁরা হলেন নাইন সিং আর কিষেন সিং, যাঁরা যথাক্রমে ১৮৬৬ ও ১৮৮০ তে লাসায় গেছিলেন। শরৎ চন্দ্র দাসকেও ব্রিটিশরা অভিযানের অর্থ ও প্রয়োজনীয় সাহায্য দিয়ে তিব্বতে পাঠান। শরৎ চন্দ্র দাসের তিব্বতের ধর্ম ও সংস্কৃতি জানার আগ্রহও তাঁর এই অভিযানে যাওয়ার অন্যতম বড় কারণ ছিল।

ফেব্রুয়ারি ১৮৭৭-এ তিনি ভাই নবীনচন্দ্র দাস, লামা উগ্যেন ও সিকিমের সেনাপতি ছেলেদের সঙ্গে আবার সিকিম যান। ইয়াঙ্গাং, তাসিডিং, সংগাং চোলিং, পেমিয়াংশী প্রভৃতি জায়গায় যান তাঁরা। অটোবায়োগ্রাফি বইতে তিনি তাঁর ভাই নবীনচন্দ্র দাসের এই ভ্রমণ সম্পর্কে লেখা কিছু অংশ উদ্ধৃত করেছেন, যা এরকম : ২৭শে জানুয়ারি দার্জিলিং থেকে যাত্রা শুরু করে তাঁরা। পায়ে হেঁটে চললেন শ্যাওলা ধরা পাথর আর নুড়ির ওপর দিয়ে। সেখানে প্রকৃত কোন পথ নেই। ঝরনাই পানীয় জলের একমাত্র উৎস। রাতে বাঁশ দিয়ে একটু আচ্ছাদন বানিয়ে শীত এড়ানোর চেষ্টা। সামান্য বাঁশের সাঁকোতে রঙ্গীতের মতো খরস্রোতা নদী পেরতে হয়। এভাবে প্রথমে নামচির বড় বড় পাথরের তৈরি বৌদ্ধ মঠে পৌঁছান তাঁরা। প্রতিটি পাথরে তিব্বতি ভাষায় দেব দেবীর নাম বা মন্ত্র লেখা। মঠের ভিতরের দেওয়ালে বুদ্ধের নানা ভঙ্গিমার ছবি রয়েছে। মঠের সামনে আছে স্তূপ সেখানে বৌদ্ধ পতাকা উড়ছে, তিব্বতি ভাষার ছবির মত হরফে কিছু লেখা নিয়ে। এই পতাকা প্রতিটি ভুটিয়া গ্রামে দেখা যায়, যা অশুভ আত্মাকে সরিয়ে দেয় এই বিশ্বাস আছে তাদের। গুম্ফার লামার আনুকূল্যে সেখানে রাত্রি বাস করে পরদিন ঘোড়ায় চেপে পাহাড় চড়া শুরু হল। মখমলের মতো সবুজ মসে ঢাকা কাণ্ড-ওয়ালা ওক গাছের নিবিড় জঙ্গল আর গাছ থেকে ঝুলে থাকা বিশাল লম্বা লম্বা লতা। একসময় পাহাড় থেকে নামতে হলো ক্রমাগত পিচ্ছিল পথে। ঘোড়ায় নামা অত্যন্ত আশঙ্কা-জনক, রুদ্ধশ্বাস অভিজ্ঞতা। রাতে টিমি নামের এক গ্রামের একটি বাঁশ ও লম্বা ঘাস দিয়ে তৈরি ঘরে রাত্রিবাস। কাঠের তক্তা দিয়ে বাড়িটিতে দুটি তল তৈরি করা হয়েছে। নীচের তলায় ছাগল, শুয়োর থাকে। ঘরের বাঁশের দেওয়ালে মাংস ঝোলানো আছে। ছাদ থেকে ঝুলছে ভুট্টার সারি। কাঠের একটা আলমারিতে বুদ্ধদেবের মূর্তি আছে, সেখানে সারারাত আলো জ্বালানো ছিল। 

১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দে ১৭ জুন শরৎচন্দ্র লামা উগ্যেন গ্যাটসোকে নিয়ে সিকিমের ডুবডি থেকে জংরির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। একটু বেলা হতেই চারপাশে জুনিপার, বার্চ, রডোডেনড্রনের এল ওক, চেস্টনাটের জায়গায়। ৯০০০ ফুট থেকে ১২০০০ ফুট উঁচু এই খাড়াইয়ের নাম মন লেপচা। উপরে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে জোক উধাও হয়ে গেল। বিকেল বেলায় জংরি পৌঁছে চমরি গাই পালকদের বড় বড় পাথরের চাই দিয়ে তৈরি বাড়িতে থাকলেন। ঘরের চাল কাঠের। এখানকার মানুষ করাত, পেরেক এসবের ব্যবহার জানে না। এখানকার অসম্ভব সুন্দর জংলি সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। সামনে খাবুর, কাং-লা এবং কাঞ্চনজঙ্ঘার তুষার ধবল শৃঙ্গ। রাতে লেখক সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের দ্বারা তারা দেখে রাস্তা ঠিক করার চেষ্টা করে পারেননি ঘন কুয়াশার জন্য। 

পরদিন গাছের গুড়ির সাঁকো দিয়ে রথোঙ নদী পার হলেন। পথ চলেছে রডোডেনড্রনের বিস্তীর্ণ ঝোপের মধ্যে দিয়ে। এবার ইউম্পাং ও কাং-লার রাস্তার সংযোগ স্থলে এলেন তাঁরা। এখান থেকে সিঙ্গালীলা, ফালুট, সান্দাকফু, টংলুর দিকে পথ চলে গেছে। লেখকেরা চু-রুং নদীর গতিপথ ধরে এগিয়ে চললেন। বেলায় তাঁরা তে গিয়াক-লা পর্বতের কাছে একটা গুহায় আশ্রয় নিলেন। সেখানে তিনজন তিব্বতীর সঙ্গে দেখা হল। তাদের কাছে খবর পেলেন নেপালি আউটপোস্ট রক্ষীরা যাত্রায় বাধা দেবে না। এখানে কোন গাছপালা নেই, শুধু ঘাস আর লাইকেন। ১৪ হাজার ৮০০ ফিট উচ্চতায় রাতে ঠান্ডায় খুব কষ্টকর ভাবে কাটল। 

ভোরে আবার যাত্রা শুরু। সবুজ ঘাসের প্রান্তর আর চারপাশ ঘিরে সূর্য তুষার শৃঙ্গ। তারপর শুধু বড় বড় পাথরের পথ। সেখানে তিনটি ম্যার্মট দেখলেন তাঁরা। এবার তাঁরা কাং-লা শৃঙ্গের নিচে এসে পৌঁছলেন (১৬ হাজার ৩১৩ ফুট)। দুপুরবেলা মধ্য গগনের সূর্যের আলো বরফের ওপর পড়ে যে ঝলকানি তৈরি হয়েছে তাতে তাকানো যায় না। লেখক আর লামা নীল চশমা পড়লেন। কুলি, গাইডরা তাদের চোখের পাতার নীচে চোয়ালে কালো রং করেছে, এই উজ্জ্বল আলোর বিচ্ছুরণ প্রতিহত করার জন্য। গাইড ফুর্চুং সাবধান করল এক মুহূর্ত অসতর্ক হলে বরফের ওপরে পা ক্রিভাস বা বরফের ফাটলে পড়লে জীবন শেষ। লেখকের ১০০ ইয়ার্ডের মতো দূরে অ্যাভাল্যাঞ্চ বা তুষারধ্বস হতে দেখলেন। 

দূরে পাথরের উপর কিছু পতাকা উড়ছে দেখা গেল। গাইড ফুর্চুং বলল এটা সিকিম ও নেপালের সীমান্ত। আরো এক মাইলের মতো একটি বরফে ঢাকা ক্ষেত্র পার হতে হবে। কিন্তু ঢাল দ্রুত বাড়ছে আর নরম বরফ ক্রমাগত সবুজ নালায় পরিণত হচ্ছে। গাইড বলল এটি নিয়াম-গা নদী, যার স্রোত সবথেকে মারাত্মক। এই নদীর জল হঠাৎ বেড়ে গিয়ে সেতু ভেঙে পর্যটকদের ভাসিয়ে নিয়ে যায়। নেপালি ভুটিয়ারা এই নদীর পুজো করে। অতি সাবধানে এই অংশ পেরিয়ে তারপর আরো ৫ মাইল হেঁটে তাঁরা একটা সমতল ভূমিতে পৌঁছলেন, যেখানে গাছপালা দেখা গেল। এই জায়গার নাম ফুরপা কারপু। নদীর গতিপথ ধরে আবার এগিয়ে চলা। মাঝেমাঝে বড় বড় পাথর দিয়ে তৈরি চমরিপালক আর পর্যটকদের থাকার কিছু আস্তানা করা রয়েছে। আরো নীচে টুংগা কঙমা এল। এখানে আবার রডোডেনড্রন, জুনিপার গাছ ফিরে এসেছে। তাঁরা উচ্চতা বুঝছিলেন জলের স্ফুটনাঙ্ক এবং কখনো কখনো গাছপালার প্রকৃতি পরিবর্তন দেখে। 


এবার আবার উত্তর পূর্ব অভিমুখে হাঁটা। ইয়ালুং নদী পেরিয়ে ডেচান রোলপা মঠ দেখে সো চুঙ্গা লা পর্বতে ওঠা শুরু হল। খাড়াই পথ প্রায় আড়াই হাজার ফুট উঠতে হল। ইয়ারলুঙ্ নদী এবং ইমা-তারি-চু নদীর মধ্যে চারটি শৈলশিরা মৃগেন-লা, পাংগো-লা, সেওন-লা এবং তামা-লা, যেগুলি ১৪৮০০ থেকে ১৫০০০ ফুট উঁচু, পার হলেন। সন্ধ্যেবেলা তাঁরা কামবা-চান-গিউন্সা গ্রামে এলেন। সেখানে পরদিন মঠে গেলেন। এখানকার লামারা লম্বা কানের দুল পরেন আর মাথায় লম্বা চুল রাখেন। এখানে সবাই তাকে নেপালি লামা, পালবু লামা বলে ভাবছিল। রাতে ভাত, আলু, খাসির মাংস আর মারওয়া বিয়ার দিয়ে ভোজ খাওয়াল গ্রামবাসীরা তাঁদের। লামারা ও গ্রামবাসীরা তাঁদের তিব্বত পৌঁছতে সাহায্য করার অঙ্গীকার করলেন। 


পরদিন আবার কাং-চেন নদীর গতিপথ ধরে চলা। বাঁদিকে জান্নু হিমবাহ রেখে চলতে চলতে বিকেলে নদী পেরিয়ে কামবা-চান গ্রামে পৌঁছে নদীর স্রোতে একটা বার্লি মিল চলছে দেখলেন। চারপাশে বার্লি খেত এই গ্রামে। তিনি দেখলেন কাং-চেন শৃঙ্গের উদ্দেশ্যে গ্রামবাসীদের পুজো দেওয়া - বন্দুক ফাটিয়ে, তীর ধনুক ছুড়ে, অ্যাথলেটিক্স করে। 


মঠের বড় লামা গোপনে খবর দিলেন যে সীমান্তে আধিকারিক এখানে আসছেন এবং তিনি গ্রামবাসীদের আদেশ করেছেন যেন তারা কোনো চমরি বা মেষ বিক্রেতাকে তিব্বতে ঢুকতে না দেয় কারণ সেখানে পশুর মরক শুরু হয়েছে। চাথাং-লা পাসটি পর্যটকদের জন্য সাধারণভাবে বন্ধ থাকে আর কাং-লা চেন পাস খোলা থাকে। এবার লেখক তাঁর তিব্বতে পৌঁছানো নিয়ে অত্যন্ত সংশয়গ্রস্ত হয়ে পড়লেন।

                        (চলছে)

      

২টি মন্তব্য:

  1. একটি ভিন্ন স্বাদের তিব্বত ভ্রমণ পর্ব টি বেশ আকর্ষক লাগলো। ভ্রমণ পথে নানান মনোরম প্রকৃতির শোভা কখনও দুর্গম পথ সব মিলিয়ে বেশ রোচক পর্বটি।শিউলি

    উত্তরমুছুন