সোমবার, ৫ আগস্ট, ২০২৪
১৭। তীর্থ ভ্রমণ ২ যদুনাথ সর্ব্বাধিকারী
রবিবার, ৪ আগস্ট, ২০২৪
১৬। তীর্থ ভ্রমণ ১ যদুনাথ সর্ব্বাধিকারী
সেকালের বাঙালিদের ভ্রমণ ধারাবাহিক
---- সুমনা দাম
শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪
১৫। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনী ২ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
সেকালের বাঙালিদের ভ্রমণ ধারাবাহিক
------- সুমনা দাম
বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০২৪
১৪। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনী ১ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
সেকালের বাঙালিদের ভ্রমণ ধারাবাহিক
------- সুমনা দাম
বুধবার, ৩১ জুলাই, ২০২৪
১৩। রাজনারায়ণ বসুর আত্ম-চরিত
সেকালের বাঙালিদের ভ্রমণ ধারাবাহিক
------- সুমনা দাম
রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪
১২। দ্বারকানাথ ঠাকুরের ভ্রমণ
সেকালের বাঙালিদের ভ্রমণ ধারাবাহিক
------- সুমনা দাম
শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪
১১। রাজা রামমোহন রায়ের ভ্রমণ
সেকালের বাঙালিদের ভ্রমণ ধারাবাহিক
------- সুমনা দাম
বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০২৪
১০। তীর্থ মঙ্গল ৫ বিজয়রাম সেনবিশারদ
সেকালের বাঙালিদের ভ্রমণ ধারাবাহিক
---- সুমনা দাম
(আগের পর্বের পরে)
এবার ফেরার পালা। প্রথমে ফতুয়ার উদ্দেশ্যে সবাই রওনা দিলেন। নৌকা জুড়াগ্রাম, গাজীপুর হয়ে মুরদপুরে রাত্রিবাস। সেখানে আছেন লিঙ্গদেব রামেশ্বর, যা শ্রীরামচন্দ্রের প্রতিষ্ঠিত বলে কবি বলেছেন। ভোজপুরের অধীনস্থ অর্জুনপুরে রাত্রিবাস। শোন নদী বামে রেখে আর ডানে গঙ্গা - এর মধ্যে দিয়ে নৌকা চলল। সেরপুর, দানাপুর (এখানে ইংরাজের কেল্লা অর্থাৎ ছাউনি রয়েছে) হয়ে নৌবহর পাটনায় পৌঁছালো। অনেক যাত্রীকে কর্তা টাকা দিয়ে বাড়ি পাঠালেন ও নিজে মাস খানেক পাটনায় থাকলেন।
কাশী থেকে খিদিরপুর (বর্তমান গুগল ম্যাপে পায়ে হেঁটে, উল্লেখ্য যে সেই ভ্রমণটি হয়েছিল নদীপথে)
তারপর পালকি করে কর্তা ফতুয়া গেলেন। ফতুয়া থেকে আবার নৌকা যাত্রা। মুনসিকে কর্তা এখানে বিদায় দিলেন। দূরে গৌরীশংকর পাহাড় দেখা গেল। চৌকিঘাটা, দরিয়াপুর, সূর্যগড় হয়ে নৌকা মুঙ্গের এলো। সীতাকুণ্ডে গিয়ে সবাই পুজো দিলেন। তারপর জাংগিরা, সুলতানগঞ্জ হয়ে পাহাড়ের ওপর বটেশ্বর শিব দর্শন করলেন। ভাগলপুর, চম্পা নগর, সুজাগঞ্জ হয়ে পাথরঘাটায় নৌকা এলো। রাত্রি বাস হল পীরপৈতিতে। তেলিয়াগড়ী, সকরিগলি হয়ে রাজমহলে রাত্রি বাস। এরপর নৌকা চলাকালীন জলে তুফান দেখে ভয়ে নদীর পাশে কাশবনে নৌকা ভিড়িয়ে রান্না হল। কাদা জলের মধ্যে বাঘের ডাক শুনতে শুনতে রান্না ও খাওয়া হলো। নৌকা আবার চলল। খেজুরিয়া, সুতী হয়ে দক্ষিণমুখী হয়ে নৌকা চলতে লাগলো। সাহেবঘাটা এলো, সেখানে পীরজাদা সাহেব আছেন। পীরজাদা সাহেব এক মুসলমান ফকির। হিন্দু মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মানুষই তাঁর কাছে যেত। পারসী ভাষা ব্যবহার করে কবি বলেছেন যে তাঁর বড়ই বারগা অর্থাৎ মাহাত্ম্য। এরপর ফতুল্লাপুর অর্থাৎ ফতেউল্লাপুর, দুর্গাপুর, জঙ্গিপুর, লক্ষ্মীপুর হয়ে মকুসুদাবাজ অর্থাৎ মুর্শিদাবাদ এল। সাধকবাগে স্নান খাওয়া করা হলো। পশ্চিম পাড়ে হিরাঝিল, সেঠের বাগান। পরদিন কিরিটেশ্বরী পূজা দিতে গেল সবাই। এবার বামে মঙ্গলটুলি নবাবের বাড়ি রেখে নৌকা চলল। ডানে সাঁইকুলী আর ডাহাপাড়া পেরিয়ে কাশিমবাজার এল নৌকা। কাশিম বাজার বড় শহর, বড় বড় মানুষের বাস। সয়দাবাজ অর্থাৎ সৈয়দাবাদ, খিদিরপুর, চুমরিগাছা, শ্রীশ্যামনগর, পলাশী হয়ে কাটোয়ায় নৌকো এলো। ডানে বারবাজার, বামে মাটিয়ারী। রঘুনন্দন মিত্রের দ্বাদশ শিব মন্দির। তারপর দাই, বুড়ারানীর ঘাট, মানিকচন্দ্রের ঘাট হয়ে ক্রমে অগ্রদ্বীপে নৌকা এলো। সেখানে চৈতন্যদেবের শিষ্য গোবিন্দ ঘোষ ঠাকুরের বাড়ীতে শ্রী চৈতন্যদেব প্রতিষ্ঠিত গোপীনাথ ঠাকুরের মন্দির। কিন্তু গোপীনাথ রাজা নবকৃষ্ণের বাড়িতে (কলকাতার শোভাবাজারের রাজবাড়িতে) আছেন তাই যাত্রীরা দর্শন করতে না পেয়ে আক্ষেপ করল। কাশীপুর, ঘোড়াইক্ষেত্র, গোটপাড়া এল। সিকিরাগাছি, বালডাঙ্গা, মেড়তলা হয়ে নৌকা নবদ্বীপ এলো। সেখানে নাকি সতেরোশ ব্রাহ্মণ আছে, অধ্যাপকও অনেক। তেমোহনি দিয়ে নৌকা পড়ে খরড়ার জলে। গোকুলগঞ্জের ঘাট হয়ে শান্তিপুর এলো। ক্রমে ক্রমে গুপ্তিপাড়া, ফুল্যা-নবলা, হরধাম, সোমড়া, চাকদহ, জিরাট, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, ত্রিবেনী, বাঁশবেড়িয়া, হুগলি, চুঁচুড়া, ফরাসডাঙ্গা,গৌরহাটি, নিমাই তীর্থ ঘাট, মুনিরামপুর, দীঘাঙ্গ, মাহেশ (এখানে জগন্নাথ দেব আছেন, যাত্রীরা নৌকা থেকে নমস্কার জানালো), কোন্নগর, আগরপাড়া, সুকচর (এখানে দামামায় সাড়া দিল কারণ এখানে দেওয়ানজির গ্রাম), বালি, বরানগর, চিৎপুর হয়ে কলিকাতা শহর পৌঁছাল। এভাবে খিদিরপুর গঙ্গার ঘাটে নৌকা এলো। যাত্রা শেষ হলো। বহু লোক শুধু তীর্থযাত্রীদের দর্শনে পুণ্য লাভের উদ্দেশ্যেই এলো। কর্তা ধুমধাম করে তীর্থশ্রাদ্ধ করলেন। এভাবেই কবি বিজয় রামের তীর্থ মঙ্গলকাব্যের পরিসমাপ্তি ঘটলো।
প্রিয় পাঠক: আপনার মতামত আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ! অনুগ্রহ করে একটি মন্তব্য করুন এবং এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার চিন্তাভাবনা শেয়ার করুন। আমি আপনার প্রতিক্রিয়া জানার জন্য আগ্রহী!
২। গোড়ার কথা
সেকালের বাঙালিদের ভ্রমণ ধারাবাহিক ---- সুমনা দাম বাঙালির ভ্রমণ-প্রীতি সর্বজনবিদিত। কিন্তু ঠিক কখন থেকে বাঙাল...
-
সেকালের বাঙালিদের ভ্রমণ ধারাবাহিক ------- সুমনা দাম স্বর্ণকুমারী দেবী ( ১৮৫৫-১৯৩২ ) অন্যতম প্রথম বাঙা...
-
সেকালের বাঙালিদের ভ্রমণ ধারাবাহিক ------- সুমনা দাম (আগের পর্বের পরে) আগস্...
-
সেকালের বাঙালিদের ভ্রমণ ধারাবাহিক ------- সুমনা দাম "আ ভিজিট টু ইউরোপ" ত্রৈলোক্যনাথ মুখ...


