সেকালের বাঙালিদের ভ্রমণ ধারাবাহিক
------- সুমনা দাম
(আগের পর্বের পরে)
এই পর্বে সংশ্লিষ্ট দেশ - ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ।
লেখক রমেশ চন্দ্র দত্তের এবারের ভ্রমণ স্থান কেমব্রিজ। এখানকার ক্রাইস্ট কলেজে কবি মিল্টনের নিজের হাতে লাগানো মালবেরি গাছটি এখনো সযত্নে রাখা আছে। কিংস কলেজ চ্যাপেল, সেন্ট জোন্স চ্যাপেল খুব সুন্দর ভাবে সাজানো। ট্রিনিটি কলেজের লাইব্রেরী দেখার মত। বেকন, নিউটন, বায়রন, টেনিসন প্রমুখেরা যেখানে পড়েছেন সেইসব স্থান দেখার সৌভাগ্য কেমব্রিজে এলে হয়। ক্যাম নদীর ধারে সুন্দর ছোট শহর অবশ্যই দ্রষ্টব্য স্থান। তাঁরা অক্সফোর্ড ও ক্যামব্রিজের মধ্যে টেমস নদীতে অনুষ্ঠিত নৌকার প্রতিযোগিতা দেখলেন। নয় বছর পর কেমব্রিজ সেবার প্রতিযোগিতায় জয় লাভ করল।
ব্রাইটনে তাঁরা ২৬ হাজার জন স্বেচ্ছাসেবকের মার্চ পাষ্ট ও কৃত্রিম যুদ্ধ দেখলেন। সমুদ্র তীরে সুসজ্জিত বিলাসবহুল শহর ব্রাইটন থেকে তাঁরা ওয়ারথিং-এ গিয়ে ইংল্যান্ডের প্রাচীনতম দুর্গ অরুনডেল দেখলেন। এরপর তাঁরা গেলেন উইন্ডসর সেখানে রানীর বাসভবন, কলেজ, উইন্ডসর ফরেস্ট দেখলেন। দেখলেন কবি গ্রের সমাধিস্থল।
লেখক ও সঙ্গীরা এবার বিখ্যাত ডার্বি রেস দেখতে ডার্বি। এই রেসে ইংরেজরা তাদের স্বভাবসুলভ চাপা, সংযত ব্যবহার ছেড়ে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে দেখলেন লেখক।
ইংল্যান্ডের গ্রাম্য জীবন না দেখলে এই দেশ দেখা অসম্পূর্ণ থাকে। গ্রামের বাড়িগুলি পরিষ্কার ও সুন্দরভাবে তৈরি। বাড়িগুলিতে বড় উঠান, সুন্দর বাগান ও লন থাকে। রাস্তাগুলি লম্বা ও সুন্দর, অনেক পার্ক থাকে যেখানে অনেক হরিণ চড়ে বেড়ায়। নানারকম বুনো ফুল এদিকে ওদিকে ফুটে থাকে। গ্রামে একটি চার্চ অবশ্যই থাকে। ইংল্যান্ডের গ্রামের মানুষ অনেক বেশি মিশুকে শহরের তুলনায়।
একদিন তাঁরা টাওয়ার অফ লন্ডন (ইংল্যান্ডের রাজার দুর্গ ও প্রাসাদ, প্রাচীন কারাগার এবং রাজ মুকুট প্রদর্শনের স্থান) দেখতে গেলেন। তাঁরা লাইওনস্ গেট দিয়ে ঢুকে বেল টাওয়ার দিয়ে বেরোলেন। এখানে নিষ্ঠুর মেরি (ষোড়শ শতকের ইংল্যান্ডের রানী) তাঁর বোন এলিজাবেথকে বন্দী করে রেখেছিলেন। এখানে অনেক রাজকীয় তথা নারকীয় হত্যাকান্ড হয়েছে। হর্স আরমারিতে রাজাদের ব্যবহৃত অনেক অস্ত্র দেখলেন। জুয়েল রুমের রাজা রানীদের ব্যবহৃত নানান মুকুট দেখলেন। সব থেকে আকর্ষণীয় হলো পৃথিবীর বৃহত্তম হীরা, ভারত থেকে নিয়ে যাওয়া কোহ ই নূরের মডেল। লন্ডন টাওয়ারের বাইরে টাওয়ার হিল দেখা হল, যেখানে বিশ্বাসঘাতকদের প্রাণদণ্ড দেওয়া হতো। সেন্ট পিটার্স চার্চ-এর প্রাঙ্গণটিতে প্রাণদন্ডিতদের সমাধিও দেখলেন। এবার তাঁরা বিশাল সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল চার্চ দেখলেন।
এবার সমুদ্রতীরের ডেভনশায়ারে কিছু আনন্দে দিন যাপন। সবুজ পাহাড় উপত্যকায় ভরা এই স্থানে টটনেস, ডার্টমাউথ প্রভৃতি জায়গা ঘুরে প্রকৃতি উপভোগ করলেন।
এবপর দ্রষ্টব্য ইংল্যান্ডের অতি প্রাচীন কেনিল ওয়ার্থ ক্যাসেল আর স্ট্রাটফোর্ড অন অ্যাভনে শেক্সপিয়ারের বাড়ি। যে ঘরে কবি জন্মেছিলেন, তার দেওয়ালে অজস্র দর্শকের শ্রদ্ধাঞ্জলি লেখা আছে। রমেশ চন্দ্র দত্ত তার মধ্যে থেকে ওয়াল্টার স্কট ও চার্লস ডিকেন্সের নাম খুঁজে বের করতে পেরেছিলেন। বাড়িটি ভালোভাবে সংরক্ষিত হয়েছে এবং একটি মিউজিয়াম হয়েছে। এখানকার চার্চে কবি ও কবি-পত্নীর সমাধি দেখলেন তাঁরা। এখানে লেখকের ইংল্যান্ড ভ্রমণ তথা দর্শন শেষ হল।
এবার পরবর্তী গন্তব্য স্কটল্যান্ড, যে যাত্রা শুরু হল একুশে জুলাই ১৮৬৯। টেমস নদীতে স্টিমারে যেতে যেতে লেখক দেখলেন নদীটির জল অনেক দূর পর্যন্ত লন্ডনের মতোই অপরিষ্কার। বেশ কিছুদূর যাওয়ার পর দৃশ্য পরিবর্তিত হল। কল কারখানার জায়গায় নদীর দু'ধারে শস্যক্ষেত, পশুচারণ ভূমি, ঘাসে ঢাকা জমি, গাছপালা দেখা গেল। নদীর জল স্বচ্ছ হয়ে উঠল। ক্রমে টেমস নদী ছেড়ে স্টিমার জার্মান সাগর (নর্থ সি) এল। ইয়ারমাউথ শহর দেখা গেল। এরপর আর কূল চোখে পরলো না। পরদিন সকালে ফ্ল্যামবরো পাহাড় চোখে পড়ল। এরপর স্ক্যারবরো ও হুইটবি শহর পেরিয়ে তাঁরা চললেন। বিকেলে স্কটল্যান্ডের উপকূল দৃশ্যমান হল। বাস রক নামে একটি ছবির মত সুন্দর পাহাড় পেরোলেন, যাতে অসংখ্য সামুদ্রিক পাখির বাসস্থান। ২২ জুলাই সন্ধ্যায় স্কটল্যান্ডের গ্রান্টনে নেমে তাঁরা এডিনবরাতে গেলেন।
লন্ডনের থেকে এডিনবরা আয়তনে ও জনসংখ্যায় অনেক কম। অসংখ্য সুন্দর বাড়ি, চুড়াওয়ালা গির্জা আর পাহাড় শহরটিকে অপূর্ব সৌন্দর্য দিয়েছে। কালটন হিল আর ক্যাসেল পাহাড় শহরের মধ্যে রয়েছে আর আর্থার সিট ও সালিশবারি ক্র্যাগস শহরের খুব কাছে। স্যার ওয়াল্টার স্কট-এর (স্কটল্যান্ডের প্রখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক) স্মৃতিতে একটি সৌধ আছে এখানে, যার ওপর থেকে শহরের শোভা দেখা যায়। কালটন হিলের ওপর থেকে দৃশ্য আরো সুন্দর, এখানে রবার্ট বার্নস (স্কটিশ কবি ও গীতিকার) -এর স্মরণে একটি মিউজিয়াম আছে। এরপর তাঁরা হলিরুড প্যালেস ও চ্যাপেল দেখলেন। দেখলেন এডিনবরা ক্যাসেল। হ্রদের ধারে অবস্থিত এই দুর্গে স্কটল্যান্ডের রাজমুকুট সংরক্ষিত আছে।
লিনলিথগো একটি ছোট শহর, যা পাহাড় আর গোচরণ ভূমিতে ঘেরা। সেখানকার মুখ্য আকর্ষণ প্রাচীন, ভগ্নপ্রায় স্কটিশ রাজাদের রাজপ্রাসাদ। এরপর স্টিরলিং নামক ছোট শহরে পাহাড়ের উপরে উইলিয়াম ওয়ালেসের স্মৃতিসৌধ দেখে সেখানকার দুর্গ দেখলেন লেখকেরা। এরপর তাঁরা গেলেন ক্যালেন্ডার নামে স্থানে, যা সুউচ্চ ও বরফে ঢাকা পর্বতের মধ্যে অবস্থিত। এখানে তাঁরা প্রথম অনুভব করলেন স্কটল্যান্ড কী রকম অনন্ত পর্বত ও জঙ্গলময় স্থান।
সেখান থেকে ঘোড়ার গাড়িতে ট্রোসোক্স যাওয়ার পথে অসংখ্য পাহাড়, হ্রদ, উপত্যকা, গিরিখাত পার হতে হলো। মনে হল বিশাল পর্বতশ্রেণী এই দেশকে পাহারা দিচ্ছে। কাটরিন ও লোমন্ড লেক নিঃসন্দেহে স্কটল্যান্ডের তথা পৃথিবীর একটি সুন্দরতম স্থান। চারদিকে সুউচ্চ পর্বতমালা। বৃক্ষের ছায়া পড়ে হ্রদের সৌন্দর্য অপরিসীম হয়েছে। নিস্তব্ধতা সেই সৌন্দর্যের মাত্রাকে আরো বাড়িয়েছে। লেক লোমন্ডে একটি সুন্দর জলপ্রপাত আছে।
এবার বালেখ হয়ে লেখা গ্লাসগো গেলেন রেলপথে। গ্লাসগো এডিনবরার থেকে বড় শহর এবং এটি স্কটল্যান্ডের বাণিজ্যকেন্দ্র। শহরের মধ্যে রয়েছে জর্জ স্কোয়ার, যেখানে রানী ভিক্টোরিয়া ও তাঁর স্বামীর মূর্তি রয়েছে। আর রয়েছে স্যার ওয়াল্টার স্কটের স্মৃতিসৌধ।
এরপর তাঁরা স্টিমারে ওবান শহরের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। ফার্থ অফ ক্লাইড ছাড়িয়ে কান টায়ার উপদ্বীপ বাঁয়ে রেখে তাঁরা সমুদ্রে পৌঁছলেন এবং সেখান থেকে ওবান এলেন। এখানে ডুনল্লী ক্যাসেলের ভগ্নাবশেষ দেখলেন। স্কটল্যান্ডের পশ্চিমকুল বন্ধুর, অনুর্বর আর পর্বতময়। সমুদ্র থেকে উঁচু পর্বতময় শহরটি অতি সুন্দর দেখায়।
পরদিন স্টিমারে করে আইওনা দ্বীপে গেলেন। সেখানে অতি প্রাচীন সেন্ট মেরিস চার্চ দেখলেন। তারপর স্টাফা দ্বীপে কিছু অদ্ভুত প্রাকৃতিক গুহা দেখলেন। ফিঙ্গাল গুহায় সমুদ্র থেকে নৌকায় করে প্রবেশ করলেন। সেখানে ব্যাসল্টের প্রাকৃতিক ভাবে তৈরী অসংখ্য স্তম্ভ রয়েছে। এখানে সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ পাথরে প্রতিফলিত হয়ে অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়ে অদ্ভুত পরিবেশ তৈরি করে।
এরপর স্টিমারে গ্লেনকো নামক স্থানে গেলেন যেখানে তৃতীয় উইলিয়ামের সময় এক ভয়ংকর নরহত্যাকাণ্ড হয়েছিল। পরদিন স্কটল্যান্ডের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ বেন নেভিস (৪৪০০ ফিট) দর্শন করলেন। এরপর তাঁরা ক্যালিডোলিয়ান ক্যানেল-এর মধ্যে দিয়ে চললেন। এই খালের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে লোচি লেক, ওইচ লেক, নেস লেক -এই তিনটি লেককে সংযুক্ত করা হয়েছে।
তারপর ইনভারনেস হয়ে অ্যাবারডিন গেলেন তাঁরা। এই শহর গ্রানাইট শহর নামে খ্যাত। কারণ প্রায় সব বাড়ি এখানকার গ্রানাইটে তৈরি। সেখান থেকে এডিনবরা হয়ে গেলেন লেভেন লেক। স্কটল্যান্ডের রানী মেরি এই দ্বীপে নির্বাসিত ছিলেন।
এরপর কিনরস, হথর্নডেন, মেলরোজ, রোজলিন হয়ে অ্যাবটস্ ফোর্ড গেলেন। ওয়ালটার স্কটের বাড়ি এখানে রয়েছে। তার পড়ার ঘর, লাইব্রেরী, তাঁর ব্যবহার করা জিনিসপত্র প্রভৃতি দেখলেন তাঁরা। স্কটের সমাধি দেখতে তাঁরা ড্রাইবরা অ্যাবেতে গেলেন। এবার তাঁরা কার্লাইল পেনরিথ হয়ে কেসুইক গেলেন ইংল্যান্ডের হ্রদ দেখার উদ্দেশ্যে। সুইজারল্যান্ডের মতো কাম্বারল্যান্ড ইংল্যান্ডের লেক আর পর্বতের স্থান (লেক ডিস্ট্রিক্ট)। কেসুইক সেখানকার একটি শহর, যা ডারওয়েস্ট ওয়াটার লেক-এর ধারে অবস্থিত। চারদিকে পাহাড়ে ঘেরা এই লেকগুলি স্কটল্যান্ডে উচ্চভূমির থেকে সৌন্দর্যে কম নয়। লেক-এর ওপর পারে লডোর নামক প্রদেশের বিখ্যাত জলপ্রপাত দর্শন করে তাঁরা মুগ্ধ হলেন। সব দেখা শেষ হলে তাঁরা আবার লন্ডনে প্রত্যাবর্তন করলেন।
১৫ জুন ১৮৭০ -এ লেখক আয়ারল্যান্ড-এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন। আইরিশ চ্যানেল পেরিয়ে ডাবলিনে পৌঁছে সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়, পার্ক দেখলেন। শহরের কাছেই সমুদ্র তীরে কিংস্ টাউন ডাবলিনবাসীর অবসর যাপন ও প্রেম করার জায়গা।
তারপর সুউচ্চ পাহাড়ের মধ্যে আভোকা নদীর উপত্যকা দর্শন করে তিনি গ্লেডেনলোতে এলেন। সেখানে ষষ্ঠ শতাব্দীর সাতটি গির্জার ভগ্নাবশেষ রয়েছে। ক্রমে ব্রে, বয়নি, ড্রঘেডা ও বেলফাস্ট হয়ে তাঁরা বিখ্যাত জায়ান্টস কজওয়েতে গেলেন (এটি উত্তর আয়ারল্যান্ডের একটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ বা বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান, যেখানে হাজার হাজার ব্যাসল্ট ষড়ভূজ স্তম্ভ প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়েছে আগ্নেয়গিরির উদগিরণের ফলে), যা অনেকটা স্কটল্যান্ডের ফিংগালস কেভের মত। তারপর তাঁরা ডানলাস ক্যাসেল দেখলেন সমুদ্রের মধ্যে পাহাড়ের ওপর।
তারপর লন্ডনডেরি দেখলেন, যেখানে ওয়াকারের নামে সৌধ আছে (ওয়াকার প্রোটেস্ট্যান্ট ধর্মযাজক ১৬৮৯ তে লন্ডনডেরি অবরোধে শহর রক্ষার জন্য লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন)। এরপর তাঁরা আর্ন নামক লেকের জলে নৌকায় ভ্রমণ করলেন। তাঁরা লিমেরিক নামক ব্যস্ত শহর থেকে শ্যানন ঝরনা দেখতে গেলেন আর আয়ারল্যান্ডের গর্ব কিলার্নি লেক দেখলেন। এটি স্কটল্যান্ড-এর লেকগুলির তুল্য। আয়ারল্যান্ডের সর্বত্র নিবিড় শ্যামল জঙ্গল, শস্যক্ষেত্র, বৃক্ষ লতা চোখে পড়েছে। তাই একে পান্না দ্বীপ (এমারেল্ড আইল্যান্ড) বলে। এই শোভা অনেক খুঁজেও ইংল্যান্ডে পাওয়া যাবে না।
আয়ারল্যান্ডের গরীব মানুষের আলু একমাত্র ভরসা। তারা কখনো মাংস খেতে পায় না। এখানে আলুর ক্ষেত নিরবচ্ছিন্নভাবে দেখা যায়। এখানকার গ্রামবাসী দুঃখী, তাদের রৌদ্র জলে ক্ষেতে কাজ করতে হয় আর রাতে নোংরা কুটিরে শুয়োর হাঁস মুরগির সঙ্গে শয়ন করতে হয়। উর্বর দেশ হওয়া সত্ত্বেও কৃষকরা অন্য আরো কিছু দেশের মতো (ভারতের মতো) এখানে অত্যন্ত দরিদ্র।
ব্রিস্টলে তাঁরা রাজা রামমোহন রায়ের সমাধি দেখলেন। এটি ভারতীয় স্থাপত্যরীতিতে তৈরি। এরপর ওয়েলস্ প্রদেশে মিলফোর্ড হ্যাভেন, অ্যাবেরস্টিথ, কার্মারথেন, ডেভিলস ব্রিজ, কার্নারভন, ল্যানবেরিস ও কনওয়ে নামক স্থানগুলির দর্শনীয় স্থান দেখে লন্ডনে প্রত্যাবর্তন করলেন ১৪ জুলাই ১৮৭০ -এ।
(চলছে)
রমেশ চন্দ্র দত্ত মহাশয়ের ইংল্যান্ড স্কটল্যান্ড আয়ারল্যান্ডের ভ্রমণ পর্বটি যথেষ্ট বর্নময়। অজানা ইউরোপের বহু স্থানের ও বহু অজানা গল্পের সম্ভার পেলাম পর্বটিতে।
উত্তরমুছুনশিউলি
Dhanyabad!
উত্তরমুছুন