সেকালের বাঙালিদের ভ্রমণ ধারাবাহিক
------- সুমনা দাম
(আগের পর্বের পরে)
গ্যান্তসে হয়ে লাশা হাইওয়েতে এসে লেখক এর মনে হল সেটি যেন ভারতের কোন অমসৃণ রাস্তা। কোনো কোনো জায়গায় সেটি কুড়ি ফুট চওড়া, কোনো কোনো জায়গায় খুব সরু। তিব্বতের সরকার রাস্তাঘাট বাবদ খরচ করে না বললেই চলে পুরো তিব্বতে চাকা দেওয়া কোন যান নেই।
অনেকগুলি ছোট বড় গ্রাম পেরিয়ে রিং-লা গ্রামে এসে লেখক খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ অবস্থায় ঘোড়ায় চেপে তাঁকে সামডিং গোমবাতে যেতে হল কারণ সেখানে চিকিৎসক আছে। তিব্বতি চিকিৎসকের চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে কদিন পরে ২৭ নভেম্বর লেখক সামডিং থেকে লাসার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন ঘোড়ায় করে। বেশ কিছু দূর যাওয়ার পর লেখক বন্য ছাগল, বন্য ভেড়া আর কয়েকটি কস্তুরী মৃগকে ঘাস খেতে দেখলেন। এই ইয়ামদো জেলায় কোনো বন্য প্রাণীকে শিকার করা নিষিদ্ধ।
তারপর নানগার্টসে শহর পেরিয়ে ইয়ামদো লেকের তীরে এলেন তাঁরা। এরপর এক জায়গায় সঙ্গিদের কথায় লেখককে ঘোড়া থেকে নেমে ধূপকাঠি জ্বেলে অশরীরী আত্মাকে শ্রদ্ধা জানাতে হল। পরদিন পালতি লেকের পাড় ধরে চলতে চলতে খাম্বা-লার পাদদেশে পৌঁছলেন। এই পাহাড়ে চড়ার পথ অনেকটা সহজ। রাস্তার পাশে পাথরের মাঝে মাঝে বুদ্ধ ও বোধিসত্ত্বের ছবি আঁকা আছে।
খাম্বা-লার উপর থেকে তিব্বতের এক শ্রেষ্ঠ দৃশ্য দেখা গেল। সাংপো নদীর উপত্যকা এখন চোখের সামনে। বেলা থাকতে তাঁরা পাহাড়ের অপর দিকের পাদদেশে নেমে গেলেন। বার্লি ক্ষেতে কর্মরতা দুটি মহিলা লেখককে একটি বার্লির গুচ্ছ দিয়ে টাকা চাইল। এই প্রক্রিয়া তিব্বতে সর্বত্র প্রচলিত। এরপর এক জায়গায় দেখলেন মহিলারা ইঁট বানাচ্ছে। শুকিয়ে গেলে গাধা আর চমরির পিঠে সেগুলো দূরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দেখলেন পালচেন চুভরি মনাস্ট্রি আর সাংপোর ওপর চেইন ব্রিজ। এই চেন ব্রীজ পঞ্চদশ শতাব্দীতে তৈরী।
নৌকায় ঘোড়া নিয়ে তাঁরা নদী পার হলেন। সাংপো এরপর লাসার নদী কী-চুর সঙ্গে মিশেছে। অসাবধান হলে উপর থেকে নদীর জলে পড়ে অথবা তীরের চোরাবালিতে ডুবে প্রাণনাশের আশঙ্কা। এভাবে তিন মাইল কষ্টকর পথ পেরিয়ে লেখক এলেন বিখ্যাত নেতাং গ্রামে, যেখানে অতীশ দীপঙ্কর দেহত্যাগ করেছিলেন।
পরদিন ৩০ মে ভোরবেলায় রওনা দিয়ে বেশ কিছু গ্রাম পেরিয়ে লেখক পাহাড় কেটে তৈরি এক বিশাল বুদ্ধের মুখের ভাস্কর্য দেখে বুঝলেন তাঁর দীর্ঘকালের প্রার্থিত লাসা সামনে উপস্থিত। পশ্চিমের দরজা দিয়ে লেখক শহরে প্রবেশ করলেন বল্লম হাতে পাডর আর ঘোড়া নিয়ে ফুর্চুং-এর সঙ্গে। প্রহরী বুঝলো তাঁরা নতুন কিন্তু কিছু বলল না। ক্লান্তিতে তাঁর চোখ ফুলে গেছিল। চোখে কালো চশমা আর মাথায় পাগড়ি পরে তাঁকে লাদাখি মনে হচ্ছিল। রাস্তায় কজন তাঁকে দেখে গুটি বসন্ত আক্রান্ত রোগী মনে করল। প্রহরীরা এক লামার নির্দেশে লোকজনের জিনিসপত্র পরীক্ষা করছিল। তারাও লেখককে পরীক্ষা করল না।
রাস্তার দুপাশে তিব্বতি আর চিনা দোকান। প্রতি দোকানের সামনে একটা পিরামিডের মতো আকারের পাত্রে জুনিপারের ডালপালা আর শুকনো পাতা পুড়িয়ে দেবতাকে সন্তুষ্ট করা হয়। নেপালী, কাশ্মীরি দোকানও আছে। সিল্ক, পোর্সেলীন, চা প্রভৃতি বিক্রি হচ্ছে। তাসিহুনপো মঠের লামা ও অফিসাররা লাসায় এলে যে বাড়িতে থাকেন সেখানে লেখকের থাকার ব্যবস্থা হল।
পয়লা জুন বুদ্ধদেবের নির্বান লাভের পবিত্র দিনে ধূপ জ্বালানো হল পাহাড়ের চূড়ায়, মঠে, মন্দিরে, প্রতিটি বাড়িতে। মূল বৌদ্ধ মন্দির সাং-খাঙ-এর সামনে একটা লম্বা পতাকা দন্ডে চমরি গায়ের লেজের চামর, চমরি ও ভেড়ার শিং লাগানো। মঠে বুদ্ধের মূর্তিটি পঞ্চ ধাতুর তৈরী। এটি নাকি মগধে তৈরি হয়েছিল এছাড়া মৈত্রেয় বুদ্ধ, দীপঙ্কর বুদ্ধ এবং বুদ্ধের প্রধান বারো জন শিষ্যের মূর্তি রয়েছে। মহান সংস্কারক সং-খাপার মূর্তি রয়েছে। বিখ্যাত পাথর আমলোঙ্খা দেখলেন। এই পাথর বুদ্ধের শিষ্য মাদ্গল্যায়ানা ব্যবহার করেছেন। দেখলেন সব থেকে বিখ্যাত মূর্তি, এগারো মুখ বিশিষ্ট অবলোকিতেশ্বর। এছাড়া মঠের দুই ও তিনতলাতেও আরো নানা রকম মূর্তি রয়েছে।
পরদিন তিনি রামোচে গুমফা দেখে এলেন। লাসা থেকে লেখক গ্যান্তসেতে যান সেখানে ও তাশিলহুনপোতে বেশ কিছুকাল কাটিয়ে উগ্যেন ভারতে ফেরার জন্য যাত্রা করেন এবং লেখক সাম্যে ও লোখার উদ্দেশ্যে রওনা হন একুশে অক্টোবর ১৮৮২। এবারের যাত্রায় তাঁর গাইডের নাম গোপান।
প্রথমে লাসা পর্যন্ত যাওয়ার হাই রোড দিয়ে রিং-লা গ্রামে পৌঁছে তাঁরা সুন্দর পশুচরণভূমি ও জুনিপার-সিডারের পার্বত্য জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে টালুন গ্রামে এলেন, অশ্বপালনের জন্য বিখ্যাত। তারপর চং-খর মঠ দেখে সারি গ্রামে এলেন। ইআমডো লেক আর ছোট একটা মিষ্টি জলের লেকে ধারে অবস্থিত এই গ্রামে একটি বিশাল জপযন্ত্র আছে। একজন বৃদ্ধ এখানে থাকেন, যাঁর কাজ শুধু এই জপযন্ত্র ঘোরানো।
পরদিন কাবু-লা বলে ছোট পাহাড় পেরিয়ে মেলুং, খামদো, লিং, প্রভৃতি গ্রাম পার হলেন। কর্মোলিং গ্রামে শয়ে শয়ে ঘোড়া চড়তে দেখলেন। এইসব জায়গায় মানুষের বসতি কম, ঘোড়া গাধা চমরিদের চারণক্ষেত্র বেশি। এরপর টিব-লা পাহাড়ে ওঠা, যা ইয়ামদো আর লোখা জেলার সীমান্ত। উপর থেকে সেই হ্রদভূমির যে অপূর্ব দৃশ্য দেখা গেল সেরকম লেখক কখনো দেখেননি। পাহাড়ের অবতরণ বেশ শক্ত বিশেষ করে প্রচন্ড বেগে বওয়া বাতাসের জন্য। রাতে ছোট টিব গ্রামের মানুষের মিষ্টি গান শুনতে শুনতে নিদ্রা গেলেন। এরপর টিব চু নদীর গতিপথ ধরে পথ জুনিপার, ফার গাছের ঘন জঙ্গলে ঘেরা। রাতে খেদেসো নামে পুরনো দুর্গ শহরে থাকলেন। শহরে ফুলের বাগান রয়েছে। প্রতিটি বাড়ির জানলা দরজায় ফুলের গাছ রয়েছে মাটির পাত্রে। এখানে দালাইলামা ও পাঞ্চেন রিনপোচির পোশাক তৈরি হয়।
পরদিন দুই মাইল নরম বালির ওপর দিয়ে হেঁটে তাঁরা সাং-পো কাছে পৌঁছলেন। আধ মাইল চওড়া সেই নদী নৌকায় পার হয়ে (ঘোড়াসহ) এবার সাংপো নদীর ধার দিয়ে পথ গেছে টিলা আর পাথুরে জমির উপর দিয়ে, যার উপর গোড়া নিয়ে চলতে সাবধানতা লাগে। পরদিন এল সংকার নামের বড় গ্রাম। সেখান থেকে সাম্যে পর্যন্ত পথ সাংপো থেকে লম্বা হিলস পর্যন্ত বালুময়।
পাহাড়ের ওপর থেকে সাম্যের মঠের সোনালী চূড়া সূর্যের আলোয় ঝকঝক করতে থাকলো। সাম্যেতে পৌঁছে সেখানকার মঠে লেখক গ্রন্থাগারের খোঁজ করলেন যেখানে বহু আগে অতীশ দীপঙ্কর অনেক মূল্যবান গ্রন্থ দেখেছিলেন। কিন্তু জানা গেল দুর্ভাগ্যবশত সেই গ্রন্থাগার বহুদিন আগে ভষ্মীভূত হয়েছিল। এখন যা আছে তা সবই নতুন বই। ধর্মসভায় দালাই লামার সিংহাসন রাখা আছে।
সাম্যে গ্রামে চারপাশে ঘুরে দেখার সময় জানলেন নিকটস্থ পর্বত শ্রেণীতে অনেক বন্য ছাগল, ভেড়া, হরিণ আর স্নো লেপার্ড আছে। সাম্যে গ্রাম আস্তে আস্তে সাংপোর বালিতে ডুবে যাচ্ছে। লেখক শুনলেন গুরু পদ্মসম্ভব এর এই মর্মে ভবিষ্যৎ বাণী রয়েছে।
২ নভেম্বর লেখক সাম্যে থেকে ইয়ারলুং দেখতে রওনা দিলেন। বালুকাময় সমতল রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে অনেক ছোট, বড় গ্রাম দেখলেন। টাগকার-শো নামে এক প্রাচীন রাজার প্রাসাদের ভগ্নাবশেষ দেখলেন। গ্রামে যে প্রাচীন বৌদ্ধমঠ দেখলেন তা দেখতে যেন বাংলার বাড়ির মত। নদী নৌকায় পার হয়ে তাঁরা সে-টাং এলেন, যা ইয়ারলুঙের রাজধানী। এখানে কিছু নেপালি, চীনা, কাশ্মীরি দোকান আছে।
সেখান থেকে ইয়ারলুং উপত্যকা ঘুরে দেখলেন। নে-ডং-জং-এ প্রাচীন রাজাদের রাজধানীর ভগ্নাবশেষ রয়েছে। সপ্তম তিব্বতের সবচেয়ে প্রাচীন প্রাসাদ এই প্রাসাদের স্থাপত্য শতাব্দীতে তৈরি তান্দুব মন্দির দেখলেন। ওম্বু-ইহা-খান তিব্বতের সবচেয়ে প্রাচীন প্রাসাদ এখানে রয়েছে। এই প্রাসাদের স্থাপত্যতে ভারতীয়ত্ব মিশে আছে।
তারপর গেলেন তিব্বতের সবচেয়ে প্রাচীন নগর ফোডাগ জং। এখান থেকে যেসব রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তাদের উপাধি ছিল চস-গ্যিয়াল। ইয়ার্লুং উপত্যকা, তিব্বতের অন্যতম প্রাচুর্যপূর্ণ স্থান। এখানকার মানুষ ভদ্র ও শান্ত। এরপর ১০ নভেম্বর ইয়ার্লুঙ ত্যাগ করে তাঁরা তাশিলহুনপো ফিরে যাওয়ার জন্য রওনা হলেন। ২৪ শে নভেম্বর তাশিলহুনপো পৌঁছলেন।
এবার শাক্য যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে থাকেন। পাসপোর্ট পাওয়া গেল মন্ত্রী সহায়তায়। ৩০ নভেম্বর তাশিলহুনপোকে বিদায় জানিয়ে ফুর্চুং আর গোপানের সঙ্গে শাক্য রওনা দিলেন। সেখান থেকে তাঁরা খাম্বা-জং আর কোগরা লামো পাস হয়ে দার্জিলিং ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা।
রী চু নদীর গতিপথ ধরে পথ চলা। সামডং-এ একটা বাড়িতে রাত কাটালেন। সেই বাড়ির কর্ত্রীর দুই স্বামী এবং তারা দুই ভাই নয়। তারপর শাব চু নদীর পাশ দিয়ে চলা।
টমচু নদীর তীরে অবস্থিত শাক্য সুন্দর শহর। এখানকার মন্দির, লাইব্রেরী, সরকারি ও বেসরকারি বাড়িগুলি লাল রং করা। তার ওপর কালো ও নীল দাগ কাটা। এটি শহরটিকে অন্যান্য তিব্বতী শহরের থেকে স্বতন্ত্রতা দিয়েছে। এখানকার মঠের লামারা দীর্ঘ চুল রাখে এবং সেই চুল বেনি করে। একরকম দুল পড়ে যা কান ঢেকে প্রায় কাঁধ পর্যন্ত বিস্তৃত। এই কান ঢাকা বিরাট দুল সোনার তৈরি এবং পান্না ও ফিরোজা মনি পাথর বসানো। এখানকার লাইব্রেরী বিশাল। এখানকার বেশ কিছু পুঁথি সোনার হরফে লেখা। পুঁথির পাতা ছয় ফুট লম্বা, দেড় ফুট চওড়া, বইগুলি লোহা দিয়ে বাঁধানো। এগুলি সম্রাট কুবলাই খানের (১২১৫-১২৯৪) আদেশে তৈরি হয়েছিল।
৫ ডিসেম্বর ১৮৮২ শাক্য ছেড়ে চোসখোর ইহুনপো মনাস্ট্রি ছেড়ে লোনা গ্রাম হয়ে ইয়াহুগ নদী পার হয়ে ডংলা পাহাড়ে উঠলেন। চূড়া থেকে পশ্চিম দিকে অনেক শৈল শৃঙ্গের মধ্যে মাউন্ট এভারেস্ট (চোমো কানকার) দেখলেন। ডংলা পাহাড় থেকে কোশি নদী উৎপন্ন হয়েছে।
এরপর পথ গেছে এক বিশাল রুক্ষ উপত্যকার মধ্যে দিয়ে, যার চারপাশে উত্তুঙ্গ শিখর শ্রেণী। মাপ-যা, ডনকার হয়ে সং-চু নদীর গতিপথ ধরে শন-পা-লা -এর দিকে চলা। শ্রীমঙ বলে এক ইঁদুর জাতীয় প্রাণী অনেক মাটি খুঁড়ে গর্ত করে রেখেছে। ঘোড়ার পা সেই গর্তে পড়ে চলায় অসুবিধা তৈরি করছে। শোন-পা পাহাড় পেরিয়ে চিব-লুঙ উপত্যকা এল। তারপর এল ডোবটা-লাচেন-লা। এখান থেকে তিব্বতের অনেক অংশ এবং নেপাল ও সিকিম হিমালয়ের কিছু অংশ দেখা যায়। এরপর আরো বেশ কিছু গ্রাম, উপত্যকা পেরিয়ে তাঁরা খাম্বায় এলেন। সেখানকার দুর্গে লামাদের সঙ্গে দেখা হলে লেখক অনুমতি পত্র দেখালেন। লামারা সীল দিয়ে অনুমোদন করলেন এবং লেখককে চাল, ভেড়ার চামড়া,কম্বল উপহার দিয়ে আগামী বছর আবার দেখা হওয়ার আশা প্রদান করলেন।
এরপর গাইড গোপানকে বিদায় জানিয়ে নতুন দুটি ঘোড়া আর চমরি গায়ের লোমের তাঁবু ভাড়া নিয়ে ফুর্চুং-এর সঙ্গে লেখক চললেন। পথে অনেক বন্য ভেড়া আর কিছু শেয়াল দেখলেন। এবার এল কংরা ল্যামো পাস। অত্যন্ত সুন্দর ও বন্য এই জায়গায় কোন জনবসতি না থাকায় তাঁদের চোমরির লোমের তাঁবুটি কাজে লাগল। রাতে অসম্ভব শীত আর কনকনে হাওয়া প্রতিহত করতে ফুর্চুং সারারাত আগুন জ্বালিয়ে রাখলো।
পরের দিন ১০ ডিসেম্বর, লেখক এলেন গেন-গাং, যা তিব্বত, সিকিম আর ভারতের সীমান্ত। এরপর সিকিম হয়ে পর্যটকদের প্রচলিত পথে ২৭ ডিসেম্বর ১৮৮২ লেখক দার্জিলিং-এ তাঁর বাড়িতে ফিরলেন এক বছরের বেশি সময় পরে।
শরৎচন্দ্র দাস তিব্বত থেকে যে বই ও জ্ঞান সংগ্রহ করে এনেছিলেন তার ওপর ভিত্তি করে বহু মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেছেন। তিব্বতি ভাষার অভিধান-ও রচনা করেছেন।
১৮৮৫ -তে কোলম্যান মেকলে নামক প্রশাসক যখন তিব্বতে একটি মিশন প্রেরণ সম্পর্কে অনুমোদন লাভের জন্য চীনের রাজধানী পেকিং গেছিলেন তখন শরৎচন্দ্র দাস তাঁর সঙ্গী ছিলেন। এই যাত্রা সম্পর্কে তিনি কিছু লিখে যান নি, তার ফলে বিশদ জানা যায় না।