সেকালের বাঙালিদের ভ্রমণ ধারাবাহিক
------- সুমনা দাম
(আগের পর্বের পরে)
দি ট্রাভেলস অফ হিন্দু, ভলিউম টু'র শুরুতে লেখক ভোলানাথ চন্দ্র ঘোড়ার গাড়ির পরিবর্তে এবার উটের গাড়িতে পয়লা নভেম্বর, ১৮৬০ আগ্রা থেকে ফতেপুর সিক্রির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলেন।
পথে তিনি আকবরের বেগম যোধাবাইয়ের সমাধি দেখলেন। কিন্তু সমাধির সুন্দর দরজা, দেওয়াল সরকার ভেঙে বিক্রি করে দিয়েছে। সমাধির মাটি খুঁড়ে খনি বিদ্যার হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। ফলে সমাধিটি আর নেই।
আগ্রা থেকে ফতেপুর সিক্রি ২৪ মাইল। গাড়িতে ছয় ঘন্টা লাগে যেতে। পথে সমাধি, মসজিদ, ঘরবাড়ির ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়। ফতেপুর সিক্রিতে আকবরের প্রাসাদ তৈরির আগে সেটি এক জনশূন্য পাহাড়ি জায়গা ছিল। এক মুসলমান পীর (যাঁর বয়স ৯৬ বছর) শেখ সেলিম সেখানে নির্জনে বসবাস করতেন। বাদশাহ আকবর নিঃসন্তান ছিলেন পুত্রের আকাঙ্খায় তিনি ও তাঁর পত্নী যোধাবাই পায়ে হেঁটে আজমিরের মইনুদ্দিন চিশতির দরগায় যান। রাতে স্বপ্নে মইনুদ্দিন চিশতী আকবরকে আদেশ দেন ফতেপুর সিক্রিতে বৃদ্ধ সেলিম এর কাছে যেতে। শেখ সেলিমের কৃপায় আকবরের পুত্র সেলিম বা জাহাঙ্গীরের জন্ম হয়। আকবর তাঁর রাজধানী ফতেপুর সিক্রিতে নিয়ে আসেন, এখানে একটি অপূর্ব নগরী তৈরি করে।
ফতেপুর সিক্রির সবথেকে নজরকাড়া জিনিসটি হল ১২০ ফুট উঁচু, ১২০ ফুট চওড়া রাজকীয় দরজা (বুলন্দ দরওয়াজা)। শেখ সেলিমের শ্বেত পাথরের ছোট সুন্দর সমাধি, শ্বেত পাথরের ডোম বিশিষ্ট বড় মসজিদ-ও দর্শনীয়। আকবরের প্রাসাদ ভগ্নপ্রায় অবস্থায় রয়েছে। বিশাল বড় হাতি দরজার সামনে দুটি প্রমাণ মাপের পাথরের হাতির মূর্তি দেখা যায়। বিস্ময়কর একটি বিষয় হল ফতেপুর সিক্রিতে সাদা কালো মার্বেল পাথরের দাবার ছকের মেছে। সেই দাবার ছকে জেনানার ৩২ জন মহিলা দাবার গুটির বদলে বসত। বাদশাহ ছিলেন নির্ণায়ক, অভিজাতরা দর্শক এবং দুজন মনসবদার সাদা ও কালোর পক্ষে দাবা খেলতেন। যে জয়ী হত সে ওই ৩২ জন রমণীকে পেত। ফতেপুর সিক্রিতে বীরবলের ছোট কিন্তু কারুকার্যযুক্ত বাড়ি দেখা যায়।
পরদিন লেখকের ও তাঁর সঙ্গীরা সিকান্দ্রার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন। পথে কিছু বাদশাহী ক্রোশ মিনার বা মাইলফলক দেখা গেল যেগুলি বৃত্তাকার এবং এখানকার মাইলফলক থেকে আকারে বড়। এগুলি মোগল আমলে ভারতের রাজপথে দুই মাইল অন্তর লাগানো ছিল। কোশ মিনার বা ক্রোশ মিনার-এর কাছে একটি করে নজর বুরুজ থাকত পথিকদের সুবিধার জন্য। রাজপথের দু'ধারে ছাওয়া দেওয়া গাছ লাগানো ছিল।
সিকান্দ্রা নাম সম্ভবত সিকান্দার লোদীর নামে হয়েছিল। সিকান্দ্রায় আকবরের সমাধি রয়েছে, ফুল ফলের বাগিচায় ঘেরা। আকবরের সমাধির বাইরের বারান্দায় দুটি ছোট সমাধি আছে, আকবরের শৈশবে মৃত দুই নাতির। বাইরে রয়েছে তাঁর অনুগত কিছু আমির ওমরাহের কবর।
মুনী বেগম নামে আকবরের এক ইউরোপীয় বেগম ছিলেন, যিনি সম্ভবত গোয়া থেকে এসেছিলেন তিনি খ্রিস্টান ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর আকবর সিকান্দ্রায় একটি সুন্দর সমাধি তৈরি করেছিলেন। পরে অনেক বছর ধরে চার্চ মিশন সোসাইটি সেখানে ছাপাখানা চালায় এবং দুর্ভিক্ষের সময় ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দে ৩০০ জন অনাথকে সেখানে রাখে। (উইকিপিডিয়া আকবরের খ্রিস্টান ও ইউরোপীয় বেগমের বিষয়টি অস্বীকার করছে। সেখানকার মতে, যোধাবাই এর অপর নাম ছিল মারিয়াম উজ জামানি। তাঁকে খ্রিস্টান বলে ভুল করা হয়। কিন্তু লেখকের লেখা পড়ে ধারণা হয় যে তিনি ঠিক তথ্যই দিয়েছেন কারণ লেখক যোধাবাই ও মুনী বেগম দুজনেরই সমাধি প্রত্যক্ষ করেছেন)।
লেখকের পরবর্তী গন্তব্য মথুরা। পথে একদল মথুরার চৌবে পান্ডা লেখকদের গাড়ির পাশে পাশে ছুটতে থাকল তাঁদের তীর্থযাত্রী হিসেবে নেওয়ার জন্য। লেখকেরা নিজেদের খ্রিস্টান বলে পরিচয় দিয়ে শেষে ছাড়া পেলেন। এবার তাঁরা মোগল প্রাচীনত্ব থেকে হিন্দু প্রাচীনত্বে প্রবেশ করলেন।
মথুরা হল বাল্মিকী আর মনুর সুরসেনা, স্ট্রাবো আর আরিয়ানের (প্রাচীন গ্রীক লেখক ও ঐতিহাসিক) মেথোরা, হিউয়েন সাং-এর মো-থৌ-লো। সুপ্রাচীন কালে এখানে সুর নামে এক রাজা রাজত্ব করতেন, যিনি কুন্তি ও বাসুদেবের পিতা। তাঁর নামে রাজ্যের নাম হয় সুরসেনা বা সুরসেনী। মথুরার পরবর্তী খ্যাতি কৃষ্ণ ও কংসের কাহিনী ঘিরে। একসময় মথুরা সম্পূর্ণভাবে বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাবে এসেছিল। ফাহিয়েন এখানে সাতটি বৌদ্ধস্তূপ ও তিন হাজার বৌদ্ধ সন্ন্যাসী সম্বলিত কুড়িটি বৌদ্ধ-মঠ দেখেছেন। ফা হিয়েন মথুরায় একমাস ব্যাপী ছিলেন ও বৌদ্ধধর্ম মহাসম্মেলনে অংশ নেন। হিউয়েন সাং-এর সময় এখানে বছরে তিনটি ধর্মানুষ্ঠান পালিত হতো। লেখক বলেন বর্তমানে কংস টিলা নামে খ্যাত ধিবিটি সম্ভবত কোন বৌদ্ধস্তূপ যা কালের প্রভাবে মাটি চাপা পড়েছে।
যমুনা নদীর ধারে কৃষ্ণের জন্মভূমি মথুরায় বিশ্রাম ঘাট দর্শনীয়, যেখানে কৃষ্ণ ও বলরাম কংসকে বধ করার পর স্নান ও বিশ্রাম করেছিলেন। এই ঘাটের জলে অনেক কচ্ছপ আছে। ঘাটের উপর বেশ কিছু সুন্দর মন্দির আছে। প্রতিদিন সকালে যমুনার আরতি হয়। এই ঘাটে প্রতিবছর মহাস্নান মেলা হয়, যার নাম যমনা কা বুরকী। ভারতের নানা প্রান্ত থেকে লাখের উপর মানুষ আসেন এই মেলাতে। নভেম্বর মাসের কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয় দিন এই মেলা হয়। ভিড়ের ফলে কোন দুর্ঘটনা এড়াতে পুলিশের বন্দোবস্ত করা হয়।
মথুরা শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে কাটরা বা বাজার অবস্থিত। এর মাঝখানে আওরঙ্গজেবের নির্মিত জুম্মা মসজিদ রয়েছে। এই মসজিদটি একটি ত্রিশ ফুট উঁচু ঢিবির ওপর রয়েছে। স্তম্ভ, মূর্তি, লিপি ইত্যাদি যা যা ওই অঞ্চল থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে, তা থেকে অনুমান করা যায় যে এটি সম্রাট অশোকের সময় সন্ন্যাসী উপগুপ্ত প্রতিষ্ঠিত বৌদ্ধমঠ ছিল। পরবর্তীকালে হিন্দুরা ক্ষমতায় এসে বৌদ্ধমঠের উপকরণ ব্যবহার করে মন্দির তৈরি করেছিল। গজনীর সুলতান মাহমুদ অনেক মন্দির লুণ্ঠন ও ধ্বংস করেছিলেন। আওরঙ্গজেব মথুরায় হিন্দু মন্দিরের উপরে মসজিদ গঠন করেছিলেন। মসজিদটিতে অনেক ফাটল দেখা দেওয়ায় এটি এখন ব্যবহার করা হয় না।
রাজা জয়সিং নির্মিত দূর্গের সামান্য ধ্বংসাশেষ ছাড়া কিছুই এখন পাওয়া যায় না। মানমন্দিরটিও ভগ্নপ্রায়। আহমদ শাহ দূরানীর (আফগানিস্থানের শাসক, ১৭৪৮ থেকে ১৭৬৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বারবার ভারত আক্রমণ করেন) ধ্বংসলীলার ফলে দূর্গ ও মানমন্দির সম্ভবত নষ্ট হয়েছে।
মথুরায় চৌবে সম্প্রদায়ের ব্রাহ্মণরা একচেটিয়াভাবে পান্ডার কাজ করে। লেখকেরা অত্যন্ত ধৈর্য ও চালাকির সঙ্গে তাদের উৎপাতের মোকাবিলা করেন। চৌবে মহিলাদের সৌন্দর্যের প্রশংসা করেছেন লেখক। মথুরায় মাড়োয়ারি, মারাঠা, চৌবেদের বাজার বেশ জমজমাট। রাস্তার দু'পাশে অবস্থিত সুসজ্জিত দোকানে সব রকম জিনিস কিনতে পাওয়া যায়। উৎসবের মরশুম ছিল সেটি। লেখকের দুজন বন্ধু নাচ দেখার জন্য মথুরায় রয়ে গেলেন।
লেখক বাকি সঙ্গীদের সঙ্গে চললেন বৃন্দাবন। এবার তাঁদের যাত্রার বাহন রথ। নামে রথ হলেও এই রথ শ্রীকৃষ্ণের আমলের রথ নয়। এই রথটি লাল পর্দার ঘেরাটোপে সাজানো, দুই চাকাযুক্ত যান যা টেনে নিয়ে যায় দুটি বলদ। মথুরা থেকে বৃন্দাবন তিন গো ক্রোশ। গো ক্রোশ সেই দূরত্ব যতদূর একটি গরুর আওয়াজ পৌঁছতে পারে। সেই প্রাচীন মাপ যুক্ত রাস্তায়, প্রাচীনকালের রথে, পৌরাণিক যমুনার কুল হয়ে লেখকেরা বৃন্দাবন যেতে যেতে অনেক ময়ূর দেখতে পেলেন, যে ময়ূরের পাখা মাথায় পরেন শ্রীকৃষ্ণ। পরদিন তাঁরা বৃন্দাবন পৌঁছলেন।
লেখকের পিতামহ, প্রপিতামহরা তাঁদের পরম আকাঙ্ক্ষিত তীর্থস্থানে বেরোনোর আগে সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা করে যেতেন। কারণ স্থলপথে হিংস্র পশু, ডাকাত, ঠগী, মারাঠা দস্যুর ভয় ছিল। জলপথে ঝড়, জলদস্যু, জল পুলিশের ভয় ছিল। এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই তীর্থ ভ্রমণের। বৃন্দাবনে লেখক একজন পান্ডা নিলেন ও তার খাতায় পূর্বপুরুষদের নাম খুঁজতে গিয়ে এক কাকা-দাদু ১৮২৫ তে এসেছিলেন সেই প্রমাণ পেলেন।
মথুরাকে কেন্দ্র করে ৮৪ মাইল ব্যাসার্ধ বিশিষ্ট চক্রাকার পথে ভ্রমণ করে তীর্থস্থান দর্শন করলে প্রাচীন ব্রজভূমি বা ব্রিজ দেখা যায়। ব্রজভূমির সর্বোত্তম স্থান হলো বৃন্দাবন। বৈদেশিক মুসলমান আক্রমণে বৈষ্ণব ধর্মের প্রতিপত্তি বৃন্দাবন থেকে লোপ পায়। চৈতন্যদেবের মথুরা, বৃন্দাবন আগমনের সময় থেকে সেখানে বৈষ্ণব ধর্মের পুনর্জাগরণ হয় বলা যায়।
বৃন্দাবনে পৌঁছেই গোঁড়া হিন্দুরা ধুলোপায়ে গোবিন্দজিকে দর্শন করতে যান। কাশীর বিশ্বের মন্দির দেখে লেখক যেমন হতাশ হয়েছিলেন বৃন্দাবনের গোবিন্দজির মন্দির দেখেও সে রকম অনুভূতি হল তাঁর। মন্দিরের গঠন সাধারণ, সাজসজ্জা তেমন নেই। সজ্জার মধ্যে আছে কিছু লাল পর্দা আর বড় পেতলের দীপাধার। কিন্তু একপাশে রাধা ও অন্যপাশে ললিতাকে নিয়ে গোবিন্দজি-কে খুব খুশি দেখাচ্ছিল। তার পরণে সকালের পোশাক। মাথায় পাগড়ি বাঁধা হিন্দু রাজবেশ। অন্য সময় অন্যান্য পোশাকে পোশাকে তাঁকে সজ্জিত করা হয়। তিনি সর্বদা বাঁশি নিয়ে থাকেন। শুধুমাত্র বাঁশি ছাড়েন যখন কংস বধ করার জন্য তীর ধনুক হাতে যোদ্ধার বেশে থাকেন। এই মূর্তিটি প্রতিমূর্তি। আসল মূর্তি আওরঙ্গজেবের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য মেবারের রানা রাজ সিং রাজপুতানায় নিয়ে যান। মূর্তিটি নাথদোয়ারায় বিদ্যমান (শ্রীনাথজি রূপে)। (প্রকৃত পক্ষে, গোবিন্দজির মূর্তি রাজা সওয়াই জয় সিং জয়পুরে তাঁর রাজপ্রাসাদে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অন্যদিকে মেবারের রানা রাজ সিং গোবর্ধনজির মূর্তি বৃন্দাবন থেকে নিয়ে গিয়ে নাথদোয়ারায় শ্রীনাথজি নামে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন)।
বৃন্দাবনে মন্দিরের সংখ্যা অগণিত। প্রতিটি মন্দিরে রাধা, কৃষ্ণ ও সখি ললিতা বিরাজিত (এখন কিন্তু প্রায় সব মন্দিরে ললিতা অনুপস্থিত)। জয়পুরের রাজা, ভরতপুরের রাজা, সিন্ধীয়ার রানী, হোলকরের রানী, দিনাজপুরের রাজা, বর্ধমানের রাজা প্রমুখ বহু রাজা-রানী প্রতিষ্ঠিত মন্দির এখানে আছে। মন্দির গুলির দৈনন্দিন খরচা এক একটিতে ১০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত।
গোবিন্দজির পরেই দ্রষ্টব্য গোপীনাথজি। এই মূর্তিটিও প্রতিমূর্তি আওরঙ্গজেবের আক্রমণের কারণে। সিপাহী বিদ্রোহের জন্য তিন বছর যাবত যাত্রী সমাগম খুব কমে যাওয়ার ফলে গোবিন্দজির মন্দির দেনায় ডুবে গেছে ও বন্ধক রাখতে হয়েছে।
কাশীঘাট অন্যতম বিখ্যাত ঘাট কারণ এখানে শিশু কৃষ্ণ কংসের প্রেরিত কাশী দৈত্যকে বধ করেছিলেন। বস্ত্রহরণ বৃক্ষ হল সেই গাছ যেখানে যমুনায় স্নানরত গোপিনীদের বস্ত্র হরণ করে কৃষ্ণ কৌতুক ছলে গাছের ডালে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। রয়েছে অক্রুরঘাট যেখানে কৃষ্ণ-বলরামকে মথুরায় আনার সময় অক্রুর রথ থামিয়েছিলেন। কালিয়াদহ আরেকটি বিখ্যাত ঘাট যেখানে কৃষ্ণ কালীয় নাগকে দমন করেছিলেন। কৃষ্ণর এই বিজয়কে স্মরণ করতে কালিয়াদহতে প্রতিবছর মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ব্রহ্মকুন্ড হল সেই পবিত্র কুন্ড যেখানে ব্রহ্মাকে বিষ্ণু পরাজিত করেছিলেন।
বেনারসে বিষ্ণু শিবের উপাসনা করেন আর এখানে তার বিপরীত। শৈব ও বৈষ্ণবদের নিজ নিজ বিশ্বাসের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের প্রয়াস এটি। যমুনার ধারে একটি বটগাছকে অক্ষয় বট বলে দেখানো হয়। বলা হয় এর একটি শেকড় এখানে, অপর দুটি এলাহাবাদে ও পুরীতে আছে। এখানে গোপেশ্বর নামে এক শিব মন্দির আছে। কথায় বলে, গোপিনী পরিবেষ্টিত কৃষ্ণকে দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে শিব ব্রজতে এসেছিলেন আনন্দে কাটাতে। কেউ যাতে তাঁকে চিনতে না পারে তাই তিনি সুন্দরী তরুণীর ছদ্মরূপে এসেছিলেন। কৃষ্ণ তাঁকে দেখে চিনে ফেলেন। কিন্তু কৃষ্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভুলে শিবকে অভ্যর্থনা করে এবং শিব আনন্দোৎসবে কৃষ্ণ ও গোপিনীদের সঙ্গে যোগ দেন।
(চলছে)
অপূর্ব এক পর্ব পাঠ করে ঋদ্ধ হলাম। কত হারানো ইতিহাসের রোমন্থন হল পর্ব পাঠের সহিত। মথুরা বৃন্দাবনের সকল কিছুই স্পষ্ট রুপে মনে পড়ল।আকবরের কাহিনীর উপর থেকে স্মৃতি ধুলিমুক্তি হলো পর্ব পাঠে ।ধন্যবাদ লেখিকাকে।
উত্তরমুছুনশিউলি
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে 🙏
উত্তরমুছুন